হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গোয়ায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত



ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায় দেশটির নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোয়া উপকূলের কাছে প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন।

ভারতীয় নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানানো হয়।

টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনী বলছে, গোয়া উপকূলের কাছে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় একটি মিগ-২৯ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানের পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন এবং তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) বলছে, গোয়া উপকূলের ভাসকোর আইএনএস হংস ঘাঁটি থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। বিমানটি পাইলট ক্যাপ্টেন এম শেওখন্দ ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দ্বীপক যাদব নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটিতে এক ঝাঁক পাখি আঘাত হেনেছিল। ফলে বিমানের ডান পাশের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় এবং বাম পাশের ইঞ্জিন বিকল হয়। বিমানের পাইলটরা প্রশংসনীয় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে জনশূন্য জমিতে বিমানটি অবতরণ করেন। যে কারণে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে গোয়ার ডাবোলিম থেকে উড্ডয়নের পরপরই একই ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল নৌবাহিনীর অপর একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। তারও আগে গত জুনে একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে সমস্যা দেখা দেয়ায় গোয়া বিমানবন্দরে প্রায় ৯০ মিনিট ধরে বিমানের উড্ডয়ন এবং অবতরণ বাতিল করা হয়।

গোয়া বিমানবন্দরে দেশটির সামরিক ও বেসামরিক বিমানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই সময় নৌবাহিনীর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি ট্যাংকে সমস্যা দেখা দেয়ায় উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে আগুন ধরে যায়।

মন্তব্যসমূহ