জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

পাকিস্তানে বাস-ট্রেন ভয়াবহ সংঘর্ষ: নিহত ৩০



পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ যাত্রী নিহত ও আরো প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রদেশের রোহরি রেল স্টেশনের কাছে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়।

নিকটস্থ সুক্কুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী ‘৪৫ আপ পাকিস্তান এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি একটি রেল ক্রসিং অতিক্রমের সময় বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় রেল ক্রসিংটিতে কোনো মানুষ ছিল না। বাসটিতে ২০ জন যাত্রী ছিল এবং সেটি পাঞ্জাব যাচ্ছিল।

সুক্কুর থানার এআইজি জামিল আহমেদ জানিয়েছেন, ট্রেনটি বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০০ ফিট দূরে নিয়ে যায় এবং সংঘর্ষের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, বাসটি ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যায়। এ সময় আহতদের চিৎকারে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে এবং তাদেরকে রোহরি ও সুক্কুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুক্কুর জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুনির মাংরিয়ো জানিয়েছেন, আহত ৬০ জনকে ওই শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ২০ জনকে রোহরির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লিয়াকতপুর শহরের কাছে গত বছরের ৩১ অক্টোবর একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৭৩ যাত্রী নিহত হয়। এর আগে একই বছরের ১১ জুলাই পাকিস্তানের সাদিকাবাদে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়। পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ