হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পাকিস্তানে বাস-ট্রেন ভয়াবহ সংঘর্ষ: নিহত ৩০



পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ যাত্রী নিহত ও আরো প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রদেশের রোহরি রেল স্টেশনের কাছে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়।

নিকটস্থ সুক্কুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী ‘৪৫ আপ পাকিস্তান এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি একটি রেল ক্রসিং অতিক্রমের সময় বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় রেল ক্রসিংটিতে কোনো মানুষ ছিল না। বাসটিতে ২০ জন যাত্রী ছিল এবং সেটি পাঞ্জাব যাচ্ছিল।

সুক্কুর থানার এআইজি জামিল আহমেদ জানিয়েছেন, ট্রেনটি বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০০ ফিট দূরে নিয়ে যায় এবং সংঘর্ষের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, বাসটি ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যায়। এ সময় আহতদের চিৎকারে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে এবং তাদেরকে রোহরি ও সুক্কুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুক্কুর জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুনির মাংরিয়ো জানিয়েছেন, আহত ৬০ জনকে ওই শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ২০ জনকে রোহরির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লিয়াকতপুর শহরের কাছে গত বছরের ৩১ অক্টোবর একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৭৩ যাত্রী নিহত হয়। এর আগে একই বছরের ১১ জুলাই পাকিস্তানের সাদিকাবাদে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়। পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ