শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

পাকিস্তানে বাস-ট্রেন ভয়াবহ সংঘর্ষ: নিহত ৩০



পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ যাত্রী নিহত ও আরো প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রদেশের রোহরি রেল স্টেশনের কাছে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়।

নিকটস্থ সুক্কুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী ‘৪৫ আপ পাকিস্তান এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি একটি রেল ক্রসিং অতিক্রমের সময় বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় রেল ক্রসিংটিতে কোনো মানুষ ছিল না। বাসটিতে ২০ জন যাত্রী ছিল এবং সেটি পাঞ্জাব যাচ্ছিল।

সুক্কুর থানার এআইজি জামিল আহমেদ জানিয়েছেন, ট্রেনটি বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০০ ফিট দূরে নিয়ে যায় এবং সংঘর্ষের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, বাসটি ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যায়। এ সময় আহতদের চিৎকারে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে এবং তাদেরকে রোহরি ও সুক্কুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুক্কুর জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুনির মাংরিয়ো জানিয়েছেন, আহত ৬০ জনকে ওই শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ২০ জনকে রোহরির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লিয়াকতপুর শহরের কাছে গত বছরের ৩১ অক্টোবর একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৭৩ যাত্রী নিহত হয়। এর আগে একই বছরের ১১ জুলাই পাকিস্তানের সাদিকাবাদে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়। পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ