হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার



তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪১ বছর বয়সী এক ধর্ষককে জনসম্মুখে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী। সোমবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি পাবলিক স্কয়ারে ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে, সোমবার সানায় মুহাম্মদ আল-মাঘরাবি নামের এক ধর্ষককে একটি একে রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।


ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে একটি চাদর বিছানো আছে। চাদরের ওপর শোয়ানো হয়েছে মাঘরাবিকে। দুই হাত বাঁধা হয়েছে পেছনের দিকে। পরে সেনাবাহিনীর এক সদস্য ওই ধর্ষকের পিঠের দুই পাশে দুই পা রেখে দাঁড়িয়ে যান। এ সময় ওই সদস্যের হাতে একে রাইফেল দেখা যায়।

শহরের প্রধান স্কয়ারে ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দেখতে হাজার হাজার মানুষ আশ-পাশে অবস্থান নেন। সোমবার মাঘরাবিকে প্রিজন ভ্যানে করে সানার ওই স্কয়ারে নেয়া হয়। পরে পেছন থেকে পিঠে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। তবে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঠিক কতদিনের মাথায় ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো সেবিষয়ে তথ্য দেয়নি ডেইলি মেইল।


দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য সরাসরি দেখানো হয়। ঘটনাস্থলে থাকা হাজার হাজার মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য ধারণ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য বলছে, ইয়েমেনের সব আইন শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তৈরি করা হয়। দেশটির শরীয়াহ আইনে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের বিধান রয়েছে। তবে ভিকটিমের পরিবারের যদি অভিযুক্তের শাস্তি লাঘবের সুপারিশ করে তবেই সর্বোচ্চ শাস্তি থেকে রেহাই মেলে।

দেশটিতে প্রতিনিয়ত অপরাধীদের শিরশ্ছেদ করা হলেও শরীয়াহ আইনে কীভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা হবে সেবিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
আপনারা এখানে হত্যা করছে কথা টা বার বার বলছেন কে? তারা ত হত্যা করিনি ফাসি কার্যকর করছে,,,ফাসি কার্যকর কি হত্যা?