হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চায় ইরান



ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে চায় ইরান।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করতে যাচ্ছে তেহরান। খবর আলজাজিরার।

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে গত ৩ জানুয়ারি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। সে কারণেই ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় তেহরান।

ইরান যদি আন্তর্জাতিক আদালতে এ বিষয়ে মামলা করে, তবে তা হবে ওয়াশিংটনের জন্য লজ্জাজনক।

জাতিসংঘের তদন্তকারী অ্যাগনেস কালামার্ডের মতে, জেনারেল সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইরানের মামলা তেহরানের সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে ভিন্নমাত্রায় প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।

এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছেই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়।

প্রথম দিকে বিমান বিধ্বস্তের বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও পরে এর দায় স্বীকার করেছে ইরান। ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের অধিকাংশ যাত্রীই ছিল ইরানের নাগরিক।

ফলে কর্তৃপক্ষের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ইরানিরা। এখন যদি ইরান আন্তর্জাতিক আদালতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারে, তবে জনগণের ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ