হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মোদি ভারতের নাগরিক কি-না জানতে চেয়ে পিটিশন



নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন রাজ্যে সহিংসতায় ২৫ এর অধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।

এদিকে, কেরালা রাজ্যের এক ব্যক্তি তথ্য অধিকার দপ্তরে পিটিশন দাখিল করে জানতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের নাগরিক কি-না এবং তা হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে সেটি প্রমাণ করতে পারবেন কি-না।


এ বিষয়ে শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালা রাজ্যের থ্রিসুর জেলার চালাকুদ্য এলাকার বাসিন্দা যোশি কাল্লুভিত্তিল তার পৌরসভার পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনের প্রেক্ষিতে একটি অনুসন্ধানের আবেদন দাখিল করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের নাগরিকত্ব আছে কি-না এবং থাকলে সেটি তিনি প্রমাণ করতে পারবেন কি-না, তা জানতে চান যোশি।


চালাকুদ্য পৌরসভার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যোশির ওই আবেদন নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

‘আম আদমি পার্টি’র কর্মী যোশি জানান, এ পিটিশন তিনি নিজের প্রচারের জন্য দেননি। জনগণের পক্ষ থেকে তিনি এ কাজ করেছেন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যারা ভারতে জন্মেছেন তারা সবাই ভারতের নাগরিক। এ ছাড়া ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা জন্ম নিয়েছেন এবং যাদের বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো একজন ভারতের নাগরিক তিনিও ভারতীয়।

পাশাপাশি ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের পর যারা জন্মেছেন এবং যাদের বাবা-মা দু’জনেই ভারতের নাগরিক কিংবা একজন ভারতীয় নাগরিক এবং অন্যজন একই সময়ে ‘অনুপ্রবেশকারী’ নন, তারাও ভারতের নাগরিক হিসেবেই গণ্য হবেন।

মন্তব্যসমূহ