শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

বিয়ের আগ মুহূর্তে পাত্রের বাবার সঙ্গে পালিয়ে গেলেন পাত্রীর মা!



ভালোবাসার টানে বিয়ের পিঁড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটে। কিন্তু ছেলেমেয়ের বিয়ের ঠিক আগেই পাত্রীর মাকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন পাত্রের বাবা!

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাতে এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে। পুরনো ভালোবাসার এই কাহিনী যেন সিনেমাকেও হার মানাল।

জানা যায়, ওই পাত্রের বাবার সঙ্গে পাত্রীর মায়ের পুরনো ভালোবাসা ছিল। কলেজে পড়ার সময় থেকেই একে অপরের পরিচিত ছিলেন। কিন্তু মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় অন্য জায়গায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে যার জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সাংসারিক জীবনে জড়িয়ে পড়েন দু’জনেই।

সম্প্রতি তাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি, সে বিয়ে পণ্ড হবে এমন একটি কারণে!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দুই পরিবারের সম্মতিতেই ওই তরুণ-তরুণীর সম্পর্ক এগিয়েছিল। তখনই পরস্পরকে ফিরে পান পাত্রের প্রৌঢ় বাবা ও পাত্রীর প্রৌঢ়া মা। এক বছর আগে বাগদানও হয়েছিল পাত্র-পাত্রীর।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই পাত্র-পাত্রীর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। তাদের বাবা ও মায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার জন্যে ইতিমধ্যেই ওই দু’জনের বিয়ে আটকে গেছে।
ওই দুই পরিবারেরই এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মেয়ের মা ও ছেলের বাবা ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল। কিন্তু তাদের প্রেম পরিণতি পায়নি। ছেলে ও মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধের জন্য যোগাযোগ হওয়ার পর এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় রীতিমতো হৈছে পড়ে গিয়েছে গুজরাটের সুরাতে। লোকলজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না দুই পরিবার।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ওই দু’জনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মজেছেন নেটিজেনরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্যসমূহ