হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘রাজমিস্ত্রি’কে ছাত্রলীগের সভাপতি করায় ১৩ নেতার পদত্যাগ



ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি ‘রাজমিস্ত্রিকে’ করায় ১৩ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার ওই নেতারা একযোগে পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগ পত্রে ওই ‘রাজমিস্ত্রির’ সঙ্গে রাজনীতি করতে অনীহা প্রকাশ করে কমিটিকে পকেট কমিটি হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি দানিছুর রহমান বাবুকে সভাপতি করে নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে সদর উপজেলা ছাত্রলীগ। ওই কমিটির সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম রোমান, নজরুল ইসলামসহ ১৩ জন পদধারী নেতা পদত্যাগ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।

এতে তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ইউনিয়নে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ নেতৃবৃন্দ রয়েছে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করে রাতের আঁধারে পকেট কমিটি গঠন করা হয়। যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি অশিক্ষিত ও পেশায় রাজমিস্ত্রি।

পদত্যাগকারী সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এবং লেখাপড়া না জানা একজন রাজমিস্ত্রিকে সভাপতি করায় সবার মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে নতুন কমিটির সভাপতি দানিছুর রহমান বাবুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা জেলা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দিয়েছি। অশিক্ষিত ও রাজমিস্ত্রির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাইফুল ইসলাম সভাপতি হতে না পারায় মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।’

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে অনেকেই অনেক অভিযোগ তোলেন। তবুও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘সদর উপজেলা ছাত্রলীগ আমাদের জেলা কমিটির সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই ওই কমিটি দিয়েছে। যেহেতু কমিটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আমাদের সময়

মন্তব্যসমূহ