হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নারী ভেবে পুরুষকে বিয়ে করে ফেললেন উগান্ডার এক ইমাম


ডিসেম্বরের শেষে বিয়ে করেছিলেন ইমাম। দুই সপ্তাহ পর জানুয়ারিতে এসে জানতে পারলেন আসলে তিনি যাকে বিয়ে করেছেন তিনি নারী নন-একজন পুরুষ। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়।

ওই ইমামের নাম শেখ মোহাম্মদ মুতুম্বা (২৭)। তার ছদ্মবেশী বউ প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে টেলিভিশন চুরি করলে গেলে পুলিশের তল্লাশিতে তার আসল পরিচয় বেরিয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ছদ্মবেশী ওই ব্যক্তি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে আসল পরিচয় জানিয়ে বলেছেন, তিনি ইমামের অর্থকড়ি চুরি করতেই মেয়ে সেজে বিয়ে করেন।

প্রতারণার শিকার মুতুম্বা স্থানীয় একটি মসজিদে চার বছর ধরে ইমামতি করে আসছেন। তার দাবি, তিনি ওিই ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে ঋতুস্রাব চলছে বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন।

ইমামের ভাষ্য, আমি তাকে নারী ভেবে ডিসেম্বরে বিয়ে করি। ওই ব্যক্তি তার নাম সাবুল্লাহ নাবুকিরা বলে পরিচয় দেন। যেহেতু তিনি তার সঙ্গে একান্তে মিলিত হতে পারেননি এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখাতেন, তাই তিনি বুঝতেই পারেননি যে, তিনি আসলে একজন পুরুষ মানুষ।

টেলিভিশন চুরি করার সময় পুলিশের একজন নারী সদস্য দিয়ে নাবুকিরার শরীর তল্লাশি করা হয় এবং জানা যায় তিনি নারী নন।

ইমামের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, নাবুকিরা সবসময় হিজাব পরে থাকায় তারা প্রতারিত হয়েছেন এবং তাকে চিনতে পারেননি।

মসজিদে কর্মরত আমিসি কিবুঙ্গা নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওই ব্যক্তির কণ্ঠ খুবই নরম এবং হাঁটার সময় হুবহু মেয়েদের মতোই হাঁটটেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ইমামের সঙ্গে চারদিন আগে আমার কথা হয়েছে। এ সময় তিনি পারিবারিক বিষয় নিয়েও কথা বলেন। জানান, রাতে তার (নাবুকিরা) সঙ্গে মিলিত হতে গেলে তিনি পোশাক খুলতে চাইতেন না। নানা অজুহাত দেখাতেন।’

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তার প্রকৃত নাম রিচার্ড টুমুশাবে বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই ইমামকে বরখাস্ত করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। যদিও তিনি বলেছেন, নারী ভেবেই তাকে বিয়ে করেছিলেন এবং এতে তার কোনো দোষ নেই।

বিশ্বাসের অখণ্ডতা রক্ষার্থেই তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদের প্রধান ইমাম শেখ ইসা বুসুলা।

মন্তব্যসমূহ