হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ইরান দারুণ ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা দেখিয়েছে: বিশ্লেষক



ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান চমৎকার প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে তেহরান দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমেরিকার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য যেকোনো হামলা মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল।

গতকাল (শুক্রবার) ইরানের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে আমেরিকার প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক ড্যানিয়েল ল্যাজারে এ মন্তব্য করেছেন। এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গতকাল জুমার নামাজের খুতবায় বলেন, ইরানের ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আমেরিকার শক্তিমত্তার দম্ভ চূর্ণ হয়েছে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি আইআরজিসি ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ সম্পর্কে বিশ্লেষক লাজারে বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ছিল অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক, হামলাগুলো ছিল খুবই হিসেবি ও নিখুঁত।

তিনি তার ভাষায় বলেন, ইরান সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের দিকেই মনোযোগ দিয়েছে এবং মানব সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সতর্ক ছিল। এ হামলার মধ্যদিয়ে ইরান দেখিয়ে দিয়েছে তাদের হাতে অত্যন্ত উন্নতমানের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা আমেরিকার যেকোন বড় ধরনের হামলার মুখে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিশ্লেষক আমেরিকার প্রতি ইউরোপের তিন দেশের আনুগত্যের বিষয়টিও তুলে ধরেন। ইউরোপের তিন দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি আমেরিকার সঙ্গে মিলে ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ