হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ'র হাতে আবারো ৩ বাংলাদেশী নিহত



উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট সীমান্তে দু’দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ।

নিহতরা হলে–আমঝোল গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে সুরুজ (৩৮) এবং একই গ্রামের উসমান আলীর ছেলে সুরুজ (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ গুলি চাললে  তারা দু’জন নিহত হন।গুতামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া জানান, বিএসএফের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। 

এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে  পঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসান আলী (২৫) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে।

গতকাল ভোরে মোমিনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫২ এলাকায় হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর দিলে বিজিবি’র উপস্থিতিতে পঞ্চগড় থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে।

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মো. মামুনুল হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়সহ বিজিবি ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গভীর রাতে হাসান আলীসহ ৬/৭ জন বাংলাদেশি গরু আনতে মোমিনপাড়া সীমান্তে গেলে ভারতের বেরুবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের হাতে আটকরা পড়েন হাসান। তবে অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে তাকে গুলি করে হত্যার পর সীমান্ত পোল পাড় করে বাংলাদেশী অংশে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। নির্বিচারে তাকে হত্যা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বিএসএফ হত্যা করেছে কিনা তদন্তের আগে নিশ্চিত করে বলতে রাজি হয়নি পুলিশ ও বিজিবি।



পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ