হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অমিত শাহের পর বিজেপির সভাপতি হলেন জেপি নাড্ডা



বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ‘পৃথিবীর বৃহত্তম’ রাজনৈতিক দলের একাদশতম সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি। এতদিন নাড্ডা কাজ করছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে। সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু, একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সভাপতিত্বের দায়িত্ব সামলানোটা বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তাঁর জন্য। তাই, স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল। জেপি নাড্ডা অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি দু’জনেরই অত্যন্ত পছন্দের প্রার্থী। তাই, তাঁর সভাপতিত্বেই সিলমোহর দিল দল।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, এমনটা বিরল বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সূত্রের খবর, প্রথমে বিজেপির সংসদীয় কমিটির সদস্য তথা অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতীন গড়করিরা পরবর্তী সভাপতি হিসেবে নাড্ডার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সিলমোহর দেয় বিজেপির জাতীয় পরিষদ। আজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে চূড়ান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রথমে সভাপতি পদে মনোনয়ন পেশ করেন নাড্ডা। প্রত্যাশিতভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। বিজেপির সব রাজ্য কমিটির তরফেই নাড্ডাকে সভাপতি করার প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হয়। এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন।

অমিত শাহ সভাপতি চলাকালীন বিজেপি কলেবরে বেশ খানিকটা বেড়েছে। দেশের তো বটেই বিজেপি গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। অমিতের সেই সাফল্য ধরে রাখাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ নাড্ডার কাছে। তাছাড়াও, যে যে এলাকাগুলিতে বিজেপি এখনও দুর্বল, সেই এলাকাগুলিতে দলের প্রভাব বাড়ানোটাও তাঁর লক্ষ্য হতে চলেছে। বিশেষ করে দাক্ষিণাত্য এবং বাংলায় বিজেপি নিজেদের প্রভাব আরও বাড়াতে চাইবে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, মোদি-অমিত শাহর উপস্থিতিতে নাড্ডা কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ