হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শুনেছি বোমাটা ঠিক জায়গায় পড়েনি, কেউ মারা যায়নি: মমতা



ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলওয়ামা ঘটনা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

কয়েকটি বিদেশি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা শুনেছি বোমাটা ঠিক জায়গায় পড়েনি, বোমাটা মিস হয়েছে এবং মানুষ মারা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন, একজন মারা গিয়েছে।’

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘ভারতীয় বিমানহানায় ঠিক ক’জনের মৃত্যু হয়েছে? বোমাটা কী ঠিক জায়গায় পড়েছে?’

বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে এসব প্রশ্ন তুলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত আস্ফালন

গত পাঁচ বছরে পঠানকোট বা উরিতে জঙ্গি হামলার পরে এই রকম পদক্ষেপ কেন করেনি ভারত সরকার? প্রশ্ন মমতার।

দেশের স্বার্থে যুদ্ধ করতে হলে তাঁর আপত্তি নেই— উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘রাজনীতির প্রয়োজনে, একটা নির্বাচন জেতার জন্য যুদ্ধ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই।’

২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেই বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। ভারত-পাক উত্তেজনাকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে সেই বৈঠকেই অভিযোগ তুলেন এ তৃণমূল নেত্রী।

বৈঠকে বিরোধী দলগুলির যৌথ বিবৃতিতে শাসক দলের কঠোর সমালোচনা করা হয়।

বৃহস্পতিবার কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর আরও চাঁছাছোলা। তিনি বলেন, ‘জওয়ানদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি আমরা কেউ পছন্দ করি না।’

তিনি আরও বলেছন, ‘আমরা জানতে চাইতেই পারি, বিমানহানায় কতজন মারা গিয়েছে? কারা মারা গিয়েছে? কিছুই তো আমরা জানতে পারিনি।’

ভারতের বিমানহানায় পাকিস্তানে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে বলে মমতা ব্যানার্জি দাবি করেন। ৩০০জন, ৩৫০ জন, ৪০০ জন— সংবাদমাধ্যমে এমন নানা সংখ্যা ঘুরাফেরা করছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে ‘একতরফা’ তথ্য ‘খাওয়ানো’ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা ব্যানার্জি।

মন্তব্যসমূহ