জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

গুহায় আটকেপড়া থাই কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধার অভিযানে ডুবুরির মৃত্যু



থাইল্যান্ডের গুহায় আটকেপড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারের চেষ্টার অভিযানে যোগ দেয়া দেশটির নৌবাহিনীর সাবেক এক ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডুবুরি সামান কুনান আটকেপড়াদের কাছে অক্সিজেন ট্যাংক সরবরাহ শেষে থাম লুয়াং গুহা থেকে বেরিয়ে আসার পথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার সহকর্মী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তিনি মারা গেছেন।
৩৮ বছর বয়সী এই ডুবুরি এর আগে থাই নৌবাহিনীর কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আটকেপড়া কিশোর ফুটবলার উদ্ধার করতে অভিযানে তিনি যুক্ত হন।
চিয়াং রাইয়ের ডেপুটি গভর্নর পাসাকম বুনইয়ালুক বলেন, নেভি সিলের সাবেক এক সদস্য গতরাত ২টার সময় মারা গেছেন। তিনি আটকেপড়া কিশোরদের উদ্ধার অভিযানে একজন স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন।
তিনি বলেন, সামান কুনারের কাজ ছিল গুহার ভেতরে অক্সিজেন ট্যাংক পৌঁছে দেয়া। কিন্তু অক্সিজেন দিয়ে এসে তিনি ফিরে আসতে সক্ষম হননি। তার সহকর্মী তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও পারেননি। রাত ১টার সময় তার মৃত্যু হয়েছে।
এটাকে দুঃখজনক সংবাদ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা একজন স্বেচ্ছাসেবীকে হারিয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভয়াবহ এই গুহার ভেতরে কিশোরদের খোঁজ পাওয়ার পর এই মৃত্যুকে প্রথম বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গুহায় আটকেপড়াদের উদ্ধারকাজে প্রায় ১১০ নেভি সিল সদস্য যোগ দিয়েছেন। থাইল্যান্ড ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীনা, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন দেশের ডুবুরিরা এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
গত ২৩ জুন ১১-১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ চিয়াং রাইয়ের থাম লুয়াং গুহায় প্রবেশ করে। পরে প্রবল বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে তারা ভেতরে আটকা পড়ে।
আটকেপড়া শিশুরা জীবিত আছে বলে গত সোমবার নিশ্চিত হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। শিশুদের কেউই সাঁতার জানে না।
উদ্ধারকারীরা গুহার পানি যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করছেন। তার পরও কিছু জায়গা সাঁতরে আসতে হবে শিশুদের। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে উদ্ধারকারী থাকলেও সরু পথ দিয়ে তাদের একাই পানি পার হতে হবে।
চিয়াং রাইয়ের গভর্নর বলেন, গুহাটি থেকে পানি বের করার কাজ চলবে। কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গুহার ভেতরে ডাক্তার ও নার্সও পাঠানো হবে।
কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ গুহাটি পর্যটকদের কাছে বরাবরই দারুণ আকর্ষণীয়। যদিও বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই গুহার ভেতর পানি প্রবেশ করে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে গুহার ভেতরে পানি ১৬ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

মন্তব্যসমূহ