জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

প্রেমের টানে পটুয়াখালীতে ইন্দোনেশীয় তরুণী

পটুয়াখালীর তরুণ ইমরানের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়ার (২০)। ফেসবুকেই চলে বার্তা আদান-প্রদান। এক সময় তা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। এই ভালোবাসার টানেই সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে পটুয়াখালীর বাউফলে ছুটে এসেছেন ওই তরুণী।

পেশায় শিক্ষক নিকি উল ফিয়ার বাড়ি ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামে। আর ইমরান হোসেনের বাড়ি বাউফলের দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন। ইমরান পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অর্নাস তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। সোমবার কথা হয় ইমরান ও নিকির সঙ্গে।

ইমরান বলেন, ‘ব্ছরখানেক আগে ফেসবুকে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিকির সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। আমার পরিবার সম্পর্কে সবকিছু জেনেশুনেই তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তার পরিবারও বিষয়টি জানে।’

গত শুক্রবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান নিকি। সেখান থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে যান ইমরান। নিকি উল ফিয়া সাংবাদিকদের জানান, ভালোবাসার টানেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ইমরানক বিয়ে করতে চান তিনি। বিষয়টি মা-বাবাকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি ইমরানের পরিবারের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।

ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আসার পর নিকি উল ফিয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ইমরানের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি নিকি উল ফিয়ার ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান দেলোয়ার হোসেন। 

মন্তব্যসমূহ