হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শোক মিছিলে চাপাতি নিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শোক মিছিলে আজ মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে পড়ে এবং শোক মিছিলের একাংশ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উলিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিতম সরকার জানান, উপজেলা সম্মেলন বাতিল করে জেলা কর্তৃক পকেট কমিটি গঠন করা নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে অসন্তোষ চলে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা নিয়ে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শোক মিছিলে বর্তমান কমিটির কতিপয় সদস্য রামদা, ক্ষুর, চাপাতিসহ  তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে তাদের পক্ষের পাঁচজন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁরা তাঁদের সংগঠনের শোক মিছিল শেষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শোক মিছিলে যোগ দেন। মিছিলটি উলিপুর শহরের ওকে টি স্টলের সামনের সড়কে পৌঁছালে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে চাপাতি ও ক্ষুরের আঘাতে তাঁদের ছয় কর্মী আহত হন। এঁরা হলেন রুবেল, জাহিদ হাসান, মনজিদুল আজম রাজা, জিহাদ হোসেন, আজিজুল ইসলাম ও আবদুর রহিম। তাঁদের উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস কে আবদুল্লাহ আল সাইদ জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে শোক মিছিলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করা হয়। শান্তি বজায় রাখতে এক প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।এনটিভি

মন্তব্যসমূহ