হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বন্যাকবলিত এলাকায় সেনা মোতায়েন

দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় প্লাবিত এলাকায় উদ্ধারকাজ ও ভেঙে যাওয়া বাঁধ পুনর্নির্মাণে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আজ সোমবার গাইবান্ধা সদরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ পুনর্নির্মাণে তিন প্লাটুন সদস্য প্রয়োজনীয় উদ্ধারসামগ্রীসহ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বন্যাকবলিত এলাকায়ও কাজ করছেন সেনাসদস্যরা।

আজ সোমবার আন্তবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে গাইবান্ধা সদরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তা পুনর্নির্মাণে সেনাবাহিনীর তিন প্লাটুন সদস্য পাঁচটি স্পিড বোট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্ধারসামগ্রীসহ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯ পদাতিক ডিভিশন থেকে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষকদল আজ সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যাদুর্গত এলাকা কাজীপুর উপজেলার বাহুকায় গমন যায় এবং দুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে যে কোনো সময় সেনাবাহিনীর আরো সদস্য বন্যাদুর্গত এলাকায় দ্রুততম সময়ে দুর্গতদের উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে তলিয়ে গেলে সরকারের নির্দেশে জনস্বার্থে প্রাথমিকভাবে গত শনিবার ৬৬ পদাতিক ডিভিশন থেকে এক প্লাটুন সেনাসদস্য ঠাকুরগাঁও শহরে মোতায়েন করা হয়। উক্ত সেনাসদস্যরা রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরবর্তীতে গতকাল রোববার সকালে প্রাথমিকভাবে দিনাজপুর সদর ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় দুই প্লাটুন করে সেনাসদস্য উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়। বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটলে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে গতকালই পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের জন্য আরো অধিক সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে দিনাজপুর সদরে তিন প্লাটুন ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক কোম্পানি সেনাসদস্য বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে। অদ্যাবধি ওই এলাকা দুটি থেকে সেনাবাহিনী দুই শতাধিক বন্যাদুর্গত মানুষকে উদ্ধারসহ বিপুল পরিমাণ গবাদি পশু ও গৃহস্থালিসামগ্রী উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গতকাল সৈয়দপুরে বাঁধ রক্ষার কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দুই প্লাটুন সেনাসদস্য নিয়োগ করা হয়। ওই সেনাসদস্যরা সফলভাবে বাঁধ রক্ষার কাজ সম্পন্ন করে সন্ধ্যায় সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করে। একই দিনে সেনাবাহিনীর তিনটি বিশেষ পর্যবেক্ষকদল গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও তিস্তা ব্যারাজে বন্যাদুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে।’

এ ছাড়া সেনাবাহিনী সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।

মন্তব্যসমূহ