হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মসজিদুল হারামের ইফতারে লাখো মানুষের ঢল

উমরাহ পালনের জন্য বিপুল হাজি বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কায় মসজিদুল হারামে অবস্থান করছেন। প্রতি বছরের মতো এবারের রমজানেও মসজিদুল হারামের চারপাশে ইফতারির বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।

রমজানে মক্কায় বসবাসকারী সৌদি নাগরিক, প্রবাসী ও হাজিদের জন্য ইফতারির আয়োজন করা হয়। মক্কা নগরীর লাখ লাখ প্রবাসী, সৌদি নাগরিক ছাড়াও উমরাহ হজ করতে আসা হাজিরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতার করেন। আসরের নামাজের পর থেকে ইফতার সামগ্রী তৈরির কাজ শুরু করা হয় কাবা শরিফে। সেই সঙ্গে ইফতার বিতরণও শুরু হয়, চলে মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত। রমজানে মাগরিবের নামাজের আগে কাবা শরিফে দেখা যায়, এক অপরূপ দৃশ্য। ইফতার বিতরণে সব মুসলমান এক কাতারে শামিল হন। মক্কার মুসলিমরা তাঁদের অতিথিদের জন্য শুরু করেন মেহমানদারি।
প্রতিনিদের ইফতারে কাবা শরিফে খেজুর, জমজমের পানি, রুটি, গাওয়া, দই ও খেবসা (এক ধরনের বিরিয়ানি) দেওয়া হয়। মসজিদের মূল চত্বরের বাইরে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক স্থানে ইফতারির আয়োজন করা হয়।

অনেক মানুষ ইফতারে অংশ নিলেও খাদ্য বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি নজর থাকে সবার। পরে এশা ও তারাবির নামাজ শুরুর আগেই সব উচ্ছিষ্ট মসজিদ চত্বর থেকে অপসারণ করা হয়। 

মন্তব্যসমূহ