জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

সাজা বাড়ছে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও অপরাধের

যানবাহন ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াওসহ এ ধরনের অপরাধের সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ’ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৭-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

খসড়ায় সাজার মেয়াদ পাঁচ থেকে দুই বছর বাড়িয়ে সাত বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জননিরাপত্তা বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করে। পরে মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, ২০০২ সালে এই আইন করা হয়েছিল। আইনের ৪ নম্বর ধারায় ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদা আদায়, স্থলপথ, জলপথ ও রেলপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং এর গতিপথ পরিবর্তন এই ধরনের অপরাধের জন্য বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার কথা বলা আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সাজার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। দফায় দফায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ সাত বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ ও বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের একটি খসড়াও অনুমোদন করা হয়।

মন্তব্যসমূহ