জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

লন্ডন হামলায় বিশ্বনেতাদের নিন্দা

নির্বাচনের মাত্র চার দিন আগে আবারো সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত হলো যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা।

শনিবার রাতে লন্ডন ব্রিজে ভ্যান চালিয়ে ছুরি নিয়ে হামলায় নিহত হয় সাতজন। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তিন হামলাকারী। আহত ৪৮ জন।

এ ঘটনার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে'র অফিস জানিয়েছে, তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং সব খবর জানছেন। রবিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি।


বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন এই ঘটনাকে নৃশংস এবং ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এটিকে লন্ডনের সাধারণ জনগণের উপর কাপুরুষোচিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফান সাইবার্ট টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা লন্ডনের মানুষের পাশে আছি। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়াবো।'

তার টুইটে ম্যার্কেলের বিবৃতির উল্লেখ রয়েছে, যেখানে ম্যার্কেল এই হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, জার্মানি যুক্তরাজ্যের পাশে আছে এবং যেকোন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করে যাবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোনে সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সদ্য ইউরোপ সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। তিনি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টুইটারে।

প্রথমে ২০ বা ৩০ জন আহতের খবর জানা গেলেও লন্ডনে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আহতদের সংখ্যা ৪৮ জন বলে জানিয়েছে।

ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে লিখেছেন, এই হামলার ঘটনায় ক্যানাডাবাসী লন্ডনের সঙ্গে আছে, এটাকে দুঃখজনক খবর বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

লন্ডন হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পপ শিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডে। গত মাসেই ম্যানচেস্টারে তার কনসার্ট চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়।

লন্ডন পুলিশের টুইট, যেখানে তারা জানাচ্ছেন, লন্ডন ব্রিজ এবং বারা মার্কেটে হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের প্রধান মার্ক রাউলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলিতে তিন পুরুষ হামলাকারী নিহত হয়েছে এবং তাদের বিশ্বাস এই ঘটনায় আর কোন হামলাকারী ছিল না। এরপরও তারা তদন্ত চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

মন্তব্যসমূহ