হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ছয়মাস পর ফিরলেন লহ্মীপুরের 'নিখোঁজ' আরও একজন

লহ্মীপুর জেলার রকিবুল হাসানকে ভালো ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে এলাকায় চেনেন অনেকেই। তার নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার থানায় জিডিও করেছিল। কিন্ত কোনও হদিস বের করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ।
অবশেষে ছয় মাস পর পরিবার যখন তার ফিরে আসা নিয়ে চরম উদ্বেগে তেমনই সময় বাড়ির কাছেই হাত-পা ও চোখ বেঁধে তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
লহ্মীপুর থানার ওসি লোকমান হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ঘটনা সঠিক। ছয় মাস আগে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরিবার থানায় জিডি করেছিল। এরপর আজ সকালেই তার বাড়ি থেকে কাছেই ফেলে রেখে যাওয়া হয় একইভাবে চোখ বাধা অবস্থায়"।
রাকিবুল হাসান পুলিশকে জানিয়েছে, অন্ধকার ঘরে চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল তাকে। শুধু খাওয়ার জন্য বা বাথরুমে যাওয়ার সময় তার হাতকড়া খুলে দেয়া হতো।
তার নিখোঁজ থাকা অবস্থায় কন্যা সন্তানের জন্ম হয় যার মুখ তিনি প্রথমবার দেখতে পেলেন আজ ফিরে আসার পর।

এর আগে লহ্মীপুরের আরেকজন ব্যক্তি ডা: ইকবালকেও ঢাকা থেকে 'নিখোঁজ' হওয়ার সাত মাস পরে 'মুক্তি' দেয়া হয়। তিনি 'অপহৃত হয়েছিলেন ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে। গত পয়লা জুন সে বাড়ি ফিরে যায়।
দুটো ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কী-না জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন এখনো তেমনকিছু জানা নেই তাদের।

মন্তব্যসমূহ