হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

রাশিয়া ও এফবিআই’র কারণে নির্বাচনে হেরেছি: হিলারি

মার্কিন নির্বাচন পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর ১০০ দিন পার হলেও নির্বাচন নিয়ে এখনো আলোচনা থামেনি।

নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে এবারে খোলামেলা কথা বলছেন হিলারি ক্লিনটন। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড সামিটের এক অনুষ্ঠানে মিস ক্লিনটন বলেছেন, নির্বাচনের প্রচারাভিযান নিয়ে তিনি একটি বই লিখছেন।

সে বইয়ের জন্য মিস ক্লিনটন তার নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ চিহ্নিত করার জন্য ব্যাপক গবেষণা করেছেন।


তিনি বলেন, তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে চ্যালেঞ্জ, সমস্যা এবং ঘাটতি ছিল। নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মিস ক্লিনটন তৎকালীন এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কমি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ি করেছেন।

মিস ক্লিনটন দাবি করেন, তিনি নির্বাচনে জয়ের পথে ছিলেন। কিন্তু অক্টোবরের ২৮ তারিখে তৎকালীন এফবিআই ডিরেক্টরের চিঠি এবং রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি।

গত বছরের অক্টোবরের ২৮ তারিখে তৎকালীন এফবিআই মার্কিন কংগ্রেসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইলের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

২০১৬ সালের অক্টোবরের ২৭ তারিখে নির্বাচন হলে জয়লাভ করা সম্ভব হতো বলে মনে করেন হিলারি ক্লিনটন।

মিস ক্লিনটন বলেন তার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ ১০দিনে সব কিছু পাল্টে যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় একটি দলের হয়ে প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করেন। সেটিও তার পরাজয়ের জন্য একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এটা সত্যি। নারীদের প্রতি বৈষম্য রাজনীতি, সমাজ এবং অর্থনীতির একটি অংশ।

তার নির্বাচনে জয়লাভ করা নারী অধিকারের জন্য বিশ্বজুড়ে একটি বড় বিষয় হতে পারতো বলে মিস ক্লিনটন মনে করেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন উত্তর কোরিয়ার মিসাইল এবং পারমানবিক কার্যক্রম বন্ধের জন্য একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে মিস ক্লিনটন বলেন, কোনো এক সকালে শুধু কিছু টুইটারে বার্তা লিখে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।

হিলারি ক্লিনটন বলেন তিনি এখন একজন সক্রিয় নাগরিক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যেসব ভুল নীতি রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ