গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

তিন বছর পর মুক্ত আইএসের ‘ক্রীতদাস’ ৩৬ ইয়াজিদি

ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের হাতে প্রায় ৩ বছর ক্রীতদাস হিসেবে আটক হয়ে থাকা ৩৬ জন ইয়াজিদিকে মুক্ত করা হয়েছে।
ইরাকে জাতিংঘের কার্যালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। জাতিসংঘের ধারণা, এখনো আইএসের হাতে প্রায় ১৫শ’ নারী ও শিশু আটক আছে।
মুক্ত করা ৩৬ জনের দলটির মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরাও রয়েছে। তাদেরকে কুর্দিপ্রধান উত্তর ইরাকের ডোহুকে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
তবে ঠিক কোথায় তাদের আটকে রাখা হয়েছিল এবং কি ভাবেই বা মুক্ত করা হলো – তা জানানো হয়নি।

এখনো যে ইয়াজিদিরা আটক আছেন তাদের উদ্ধারকাজে সমস্যা হতে পারে এই আশংকা থেকেই সম্ভবত এই উদ্ধার অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ জানাো হয় নি।
ইরাকে ২০১৪ সালে যখন আই এস দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নেয় তখন তারা সংখ্যালঘু ইয়াজিদি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বহু লোককে হত্যা এবং বন্দী করে।
এদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এবং যৌন নির্যাতনও চালানো হয় বলে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ