জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

তিন বছর পর মুক্ত আইএসের ‘ক্রীতদাস’ ৩৬ ইয়াজিদি

ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের হাতে প্রায় ৩ বছর ক্রীতদাস হিসেবে আটক হয়ে থাকা ৩৬ জন ইয়াজিদিকে মুক্ত করা হয়েছে।
ইরাকে জাতিংঘের কার্যালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। জাতিসংঘের ধারণা, এখনো আইএসের হাতে প্রায় ১৫শ’ নারী ও শিশু আটক আছে।
মুক্ত করা ৩৬ জনের দলটির মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরাও রয়েছে। তাদেরকে কুর্দিপ্রধান উত্তর ইরাকের ডোহুকে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
তবে ঠিক কোথায় তাদের আটকে রাখা হয়েছিল এবং কি ভাবেই বা মুক্ত করা হলো – তা জানানো হয়নি।

এখনো যে ইয়াজিদিরা আটক আছেন তাদের উদ্ধারকাজে সমস্যা হতে পারে এই আশংকা থেকেই সম্ভবত এই উদ্ধার অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ জানাো হয় নি।
ইরাকে ২০১৪ সালে যখন আই এস দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নেয় তখন তারা সংখ্যালঘু ইয়াজিদি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বহু লোককে হত্যা এবং বন্দী করে।
এদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এবং যৌন নির্যাতনও চালানো হয় বলে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ