হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘ভাই সুস্থ, বহাল তবিয়তেই আছেন’, দাবি ছোটা শাকিলের


দাউদ ইব্রাহিম! সকাল থেকেই এই খবরে তোলপাড় দিল্লি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির আগা খান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও দাউদের ডান হাত ছোটা শকিল করাচি থেকে দাবি করেছেন, ‘‘ভাই সুস্থ। বহাল তবিয়তেই আছেন।’’

ভারতের গোয়েন্দারাও বলছেন, দাউদ গুরুতর অসুস্থ, এমন খবর তাঁদের কাছেও নেই। তবে অতীতে হওয়া স্ট্রোক ও গ্যাংগ্রিনজনিত অসুস্থতার জন্য মাঝে মাঝেই পরীক্ষার করাতে হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। গোয়েন্দাদের দাবি, দশ দিন আগেই করাচিতে বেয়াই জাভেদ মিঁয়াদাদের দেওয়া পার্টিতে ছিলেন দাউদ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্রের খবর, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের গোয়েন্দা সংস্থাই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাঝেমধ্যে দাউদ সংক্রান্ত খবর ছড়ায়। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই দাউদকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ফেরত চাইছে। যদিও শুরু থেকেই ইসলামাবাদের দাবি, দাউদ সে দেশে নেই। দাউদকে ফেরানোর প্রশ্নে বাজপেয়ী জমানায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভাণী। পারভেজ মোশারফের ভারত সফরের সময়েও তিনি দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আদভাণী কথা শুনে ক্ষিপ্ত মোশারফ বলেছিলেন ‘‘দাউদ পাকিস্তানে নেই।’’ বৈঠক শেষে আদভাণী তৎকালীন গোয়েন্দা-প্রধানের কাছে দাউদের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে দেখা যায়, মুশারফের ভারত সফরের আগেই দুবাই উড়ে গিয়েছেন দাউদ।

অনেকের অভিযোগ, পাকিস্তানের পাশাপাশি দাউদকে ফিরিয়ে না আনার প্রশ্নে এ দেশের নেতাদের ভূমিকাও কম নয়। নব্বইয়ের দশকে একাধিক নেতার টাকা দাউদের ব্যবসায়ে খাটার প্রমাণও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। আজ এত বছর পরেও, দাউদকে পাকিস্তানে রেখে দেওয়ার পক্ষে নেতাদের চাপ একই ভাবে রয়ে গিয়েছে বলেই মত স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্যসমূহ