শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

‘ভাই সুস্থ, বহাল তবিয়তেই আছেন’, দাবি ছোটা শাকিলের


দাউদ ইব্রাহিম! সকাল থেকেই এই খবরে তোলপাড় দিল্লি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির আগা খান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও দাউদের ডান হাত ছোটা শকিল করাচি থেকে দাবি করেছেন, ‘‘ভাই সুস্থ। বহাল তবিয়তেই আছেন।’’

ভারতের গোয়েন্দারাও বলছেন, দাউদ গুরুতর অসুস্থ, এমন খবর তাঁদের কাছেও নেই। তবে অতীতে হওয়া স্ট্রোক ও গ্যাংগ্রিনজনিত অসুস্থতার জন্য মাঝে মাঝেই পরীক্ষার করাতে হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। গোয়েন্দাদের দাবি, দশ দিন আগেই করাচিতে বেয়াই জাভেদ মিঁয়াদাদের দেওয়া পার্টিতে ছিলেন দাউদ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্রের খবর, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের গোয়েন্দা সংস্থাই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাঝেমধ্যে দাউদ সংক্রান্ত খবর ছড়ায়। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই দাউদকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ফেরত চাইছে। যদিও শুরু থেকেই ইসলামাবাদের দাবি, দাউদ সে দেশে নেই। দাউদকে ফেরানোর প্রশ্নে বাজপেয়ী জমানায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভাণী। পারভেজ মোশারফের ভারত সফরের সময়েও তিনি দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আদভাণী কথা শুনে ক্ষিপ্ত মোশারফ বলেছিলেন ‘‘দাউদ পাকিস্তানে নেই।’’ বৈঠক শেষে আদভাণী তৎকালীন গোয়েন্দা-প্রধানের কাছে দাউদের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে দেখা যায়, মুশারফের ভারত সফরের আগেই দুবাই উড়ে গিয়েছেন দাউদ।

অনেকের অভিযোগ, পাকিস্তানের পাশাপাশি দাউদকে ফিরিয়ে না আনার প্রশ্নে এ দেশের নেতাদের ভূমিকাও কম নয়। নব্বইয়ের দশকে একাধিক নেতার টাকা দাউদের ব্যবসায়ে খাটার প্রমাণও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। আজ এত বছর পরেও, দাউদকে পাকিস্তানে রেখে দেওয়ার পক্ষে নেতাদের চাপ একই ভাবে রয়ে গিয়েছে বলেই মত স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্যসমূহ