জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

‘ভাই সুস্থ, বহাল তবিয়তেই আছেন’, দাবি ছোটা শাকিলের


দাউদ ইব্রাহিম! সকাল থেকেই এই খবরে তোলপাড় দিল্লি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির আগা খান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও দাউদের ডান হাত ছোটা শকিল করাচি থেকে দাবি করেছেন, ‘‘ভাই সুস্থ। বহাল তবিয়তেই আছেন।’’

ভারতের গোয়েন্দারাও বলছেন, দাউদ গুরুতর অসুস্থ, এমন খবর তাঁদের কাছেও নেই। তবে অতীতে হওয়া স্ট্রোক ও গ্যাংগ্রিনজনিত অসুস্থতার জন্য মাঝে মাঝেই পরীক্ষার করাতে হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। গোয়েন্দাদের দাবি, দশ দিন আগেই করাচিতে বেয়াই জাভেদ মিঁয়াদাদের দেওয়া পার্টিতে ছিলেন দাউদ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্রের খবর, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের গোয়েন্দা সংস্থাই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাঝেমধ্যে দাউদ সংক্রান্ত খবর ছড়ায়। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই দাউদকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ফেরত চাইছে। যদিও শুরু থেকেই ইসলামাবাদের দাবি, দাউদ সে দেশে নেই। দাউদকে ফেরানোর প্রশ্নে বাজপেয়ী জমানায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভাণী। পারভেজ মোশারফের ভারত সফরের সময়েও তিনি দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আদভাণী কথা শুনে ক্ষিপ্ত মোশারফ বলেছিলেন ‘‘দাউদ পাকিস্তানে নেই।’’ বৈঠক শেষে আদভাণী তৎকালীন গোয়েন্দা-প্রধানের কাছে দাউদের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে দেখা যায়, মুশারফের ভারত সফরের আগেই দুবাই উড়ে গিয়েছেন দাউদ।

অনেকের অভিযোগ, পাকিস্তানের পাশাপাশি দাউদকে ফিরিয়ে না আনার প্রশ্নে এ দেশের নেতাদের ভূমিকাও কম নয়। নব্বইয়ের দশকে একাধিক নেতার টাকা দাউদের ব্যবসায়ে খাটার প্রমাণও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। আজ এত বছর পরেও, দাউদকে পাকিস্তানে রেখে দেওয়ার পক্ষে নেতাদের চাপ একই ভাবে রয়ে গিয়েছে বলেই মত স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্যসমূহ