গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরকে 'ডোবানোর জন্য প্রস্তুত' উত্তর কোরিয়া

কোরিয় উপদ্বীপের দিকে এগিয়ে আসা মার্কিন বিমানবাহী রণতরীকে "ডোবানোর জন্য প্রস্তুত" উত্তর কোরিয়া, দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এমনটা বলা হচ্ছে।
রদং সিনমুন পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইউএসএস কার্ল ভিনসন যুদ্ধজাহাজকে "মাত্র একটি আঘাতেই" ডুবিয়ে দেয়া সম্ভব।
কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে একটি নৌবহর এ সপ্তাহেই কোরিয় উপদ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের "কৌশলগত ধৈর্যধারণের" সময় ফুরিয়েছে এমন হুশিয়ারি দেয়ার পর এই নৌবহর পাঠানোর নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় একটি ব্যর্থ মিসাইল পরীক্ষা এবং বিশাল একটি সামরিক প্যারেড আয়োজনের পর কোরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত রদং সিনমুন পত্রিকায় শনিবারের ভাষ্যের সাথে একটি ফিচারও ছাপা হয়, যেখানে দেশটির নেতা কিম জং-উনকে একটি শুকরের খামার পরিদর্শন করতে দেখা যায়।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, "আমাদের বিপ্লবী বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার জ্বালানী চালিত বিমানবাহী রণতরীকে মাত্র একটি আঘাতেই ডুবিয়ে দিতে সক্ষম"। প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি "নোংরা জন্তুকে" আক্রমণের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার "সামরিক শক্তির একটি সত্যিকারের উদাহরণ দেখানো যাবে"।
রাষ্ট্রীয় পত্রিকা মিনজু জসনও একই বক্তব্য দিয়েছে। সেখানে এমন হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে সেনাবাহিনী "এমন নির্দয়ভাবে শত্রুর ওপর আঘাত করবে, যে তারা আর জীবিত হতে পারবে না"।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এশীয় দেশগুলো সফরের সময় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র "উত্তর কোরিয়ার সব দিকই বিবেচনা করছিল। আমরা তাদের রাষ্ট্রীয় মদদে দেয়া সন্ত্রাসবাদের দিকে লক্ষ্য রাখছি এবং পিয়ংইয়ং-এর ওপর কীভাবে চাপ প্রয়োগ করা যায় সেটাও দেখছি"।
জবাবে রদং সিনমুন বলে: "যদি আমাদের মহাশক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানে হয়, তাহলে সেটি শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীকেই ধুলিস্যাত করবে না, তা মার্কিন ভূখণ্ডকেও ছাই করে দেবে"।
উত্তর কোরিয়া বলে আসছে যে তাদের পারমানবিক কর্মসূচি প্রতিরক্ষামূলক। তবে তারা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বহণযোগ্য ছোট আকারের পারমানবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, এমন কোন তথ্য-প্রমাণ এখনও নেই।
ভিনসন নৌবহর রোববার ফিলিপিন সাগরে জাপানী নৌবাহিনীর সাথে একটি যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ