হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরকে 'ডোবানোর জন্য প্রস্তুত' উত্তর কোরিয়া

কোরিয় উপদ্বীপের দিকে এগিয়ে আসা মার্কিন বিমানবাহী রণতরীকে "ডোবানোর জন্য প্রস্তুত" উত্তর কোরিয়া, দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এমনটা বলা হচ্ছে।
রদং সিনমুন পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইউএসএস কার্ল ভিনসন যুদ্ধজাহাজকে "মাত্র একটি আঘাতেই" ডুবিয়ে দেয়া সম্ভব।
কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে একটি নৌবহর এ সপ্তাহেই কোরিয় উপদ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের "কৌশলগত ধৈর্যধারণের" সময় ফুরিয়েছে এমন হুশিয়ারি দেয়ার পর এই নৌবহর পাঠানোর নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় একটি ব্যর্থ মিসাইল পরীক্ষা এবং বিশাল একটি সামরিক প্যারেড আয়োজনের পর কোরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত রদং সিনমুন পত্রিকায় শনিবারের ভাষ্যের সাথে একটি ফিচারও ছাপা হয়, যেখানে দেশটির নেতা কিম জং-উনকে একটি শুকরের খামার পরিদর্শন করতে দেখা যায়।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, "আমাদের বিপ্লবী বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার জ্বালানী চালিত বিমানবাহী রণতরীকে মাত্র একটি আঘাতেই ডুবিয়ে দিতে সক্ষম"। প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি "নোংরা জন্তুকে" আক্রমণের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার "সামরিক শক্তির একটি সত্যিকারের উদাহরণ দেখানো যাবে"।
রাষ্ট্রীয় পত্রিকা মিনজু জসনও একই বক্তব্য দিয়েছে। সেখানে এমন হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে সেনাবাহিনী "এমন নির্দয়ভাবে শত্রুর ওপর আঘাত করবে, যে তারা আর জীবিত হতে পারবে না"।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এশীয় দেশগুলো সফরের সময় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র "উত্তর কোরিয়ার সব দিকই বিবেচনা করছিল। আমরা তাদের রাষ্ট্রীয় মদদে দেয়া সন্ত্রাসবাদের দিকে লক্ষ্য রাখছি এবং পিয়ংইয়ং-এর ওপর কীভাবে চাপ প্রয়োগ করা যায় সেটাও দেখছি"।
জবাবে রদং সিনমুন বলে: "যদি আমাদের মহাশক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানে হয়, তাহলে সেটি শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বাহিনীকেই ধুলিস্যাত করবে না, তা মার্কিন ভূখণ্ডকেও ছাই করে দেবে"।
উত্তর কোরিয়া বলে আসছে যে তাদের পারমানবিক কর্মসূচি প্রতিরক্ষামূলক। তবে তারা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বহণযোগ্য ছোট আকারের পারমানবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, এমন কোন তথ্য-প্রমাণ এখনও নেই।
ভিনসন নৌবহর রোববার ফিলিপিন সাগরে জাপানী নৌবাহিনীর সাথে একটি যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ