হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কোটবাড়ীর আস্তানায় জঙ্গি নাই, বিস্ফোরক আছে: ডিআইজি

কুমিল্লার কোটবাড়ীতে ৫২ ঘণ্টা অভিযানের পর চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, আস্তানায় কোনও জঙ্গি নেই। তবে বিস্ফোরক আছে।

ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, এখন বাড়ির ভেতরে কেউ নেই। বাড়িওয়ালা বুধবার সকাল ১০টায় বাড়িতে জঙ্গি থাকার তথ্য দিয়েছিলেন।  আমরা আসতে আসতে বেলা ৪টা বেজে যায়। এরপর আমরা বাড়িটিতে কর্ডন করে তালা লাগিয়ে দেই। এর মধ্যে হয়তো তারা বেরিয়ে গেছে। বাড়িওয়ালা আমাদের বলেছিলেন, বাড়িতে দুজন জঙ্গি আছে। এর মধ্যে একজন বাড়িতে আছে, আরেকজন বের হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গি না থাকলেও ওই বাড়িতে ব্যাপক বিস্ফোরক আছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। অভিযান এখনও চলছে।’

ডিআইজি বলেন, সোয়াট টিমের সদস্যরা এখনও বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেনি। তবে এর আগে অভিযান সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছিল, সোয়াট টিমের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছে। বাড়ির নিচতলা থেকে তারা একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে। ব্যাগের ভেতর কী আছে তা এখনও জানা যায়নি।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সোয়াট টিমের সদস্যরা অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ঘটনাস্থলে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে। ওই এলাকা ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জঙ্গি আস্তানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার সকাল থেকেই সোয়াট টিম ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বিঘ্নে অভিযান চালাতে এবং ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে কোটবাড়ী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব রোড থেকে কোটবাড়ী এলাকা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কোটবাড়ীর নির্মাণাধীন ওই বাড়িটি বুধবার বিকাল থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালানো হয়নি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ২৪ জনের একটি টিম সদস্য কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। বাংলা  ট্রিবিউন

মন্তব্যসমূহ