হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

দেড়শো টাকার জন্য নাইনের ছাত্রকে মেরে পুঁতে দিল সহপাঠী

১৫০ টাকা নিয়ে গোলমারের জেরে কৃষ্ণনগরের রোড স্টেশনে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে খুন করে পুঁতে দিল তারই দুই বন্ধু। অভিযুক্ত ওই দুই কিশোরের এক জন আবার মৃতের সহপাঠী। দু’জনকেই শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল নবম শ্রেণির ছাত্র অমিত রায় এবং শুভ দাস। শুভ পড়াশোনা করত না। মদের বোতল দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তারা। তবে না জানিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগরের রোড স্টেশনে অবরোধ করেন তাদের পরিবারের লোকেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুন হওয়া ওই পড়ুয়ার নাম দেবনাথ ভৌমিক (১৫)। কৃষ্ণনগরের দেবনাথ হাইস্কুলে সে নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত তিন দিন ধরেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে শেষ তাকে ধৃত দুই বন্ধুর সঙ্গেই ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কিন্তু প্রতিবারেই তারা কিছু জানে না বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। শনিবার রোড স্টেশনের একটি পুকুরের পাশের ঝোপ থেকে


ওই ছাত্রের সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় দু’জনকেই থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা থেকে টানা জেরার পর রাত ২টো নাগাদ অবশেষে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেবনাথ তাদের থেকে ১৫০ টাকা পেত। বেশ কিছু দিন ধরেই যা নিয়ে তাদের মধ্যে গোলমাল চলছিল। ঘটনার দিন মদ খাবে বলে ওই ঝোপে গিয়েছিল তিন জনেই। সেখানে ফের গোলমাল শুরু হলে মদের বোতল দিয়ে দেবনাথের মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করে খুন করে সেখানেই তাকে পুঁতে দেয় তারা। তার জন্য আগে থেকেই সে জায়গায় গর্ত করে রাখা হয়েছিল।
তবে শনিবার গভীর রাতে ওই দু’জনকে গ্রেফতারের খবর জানাজানি হতেই থানার সামনে ভিড় জমতে শুরু করে। পরে রবিবার সকাল থেকে রোড স্টেশন অবরোধ করেন তাদের পরিবারের লোকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। আনন্দবাজার

মন্তব্যসমূহ