গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

স্বপ্নে পাওয়া নাম্বার দিয়ে লক্ষ লক্ষ ডলার লটারি পুরস্কার

ক্যানাডার এক মহিলা লটারিতে ৩৯ লক্ষ ডলার লটারি জিতেছেন।
তবে সেটা বড় খবর না। বড় খবর হলো তিনি গত ৩০ বছর ধরে একই নাম্বার ব্যবহার করে লটারি খেলছেন এবং সেই নাম্বার তিনি পেয়েছেন স্বপ্নে।
ক্যানাডার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নোভা স্কশিয়ার বাসিন্দা ওলগা বেনো বলছেন, ১৯৮৯ সালের মে মাসের এক রাতে তিনি স্বপ্নের মধ্যে এই নাম্বারগুলো পান।
তারপর থেকে নিয়মিতভাবে লটারিতে তিনি একই নাম্বার ব্যবহার করে আসছেন।
"নাম্বারগুলো আমার এতই চেনা। রাতে লটারির ফলাফল বেরোনোর পর আমার মনো হলো নাম্বারগুলো আমি টিভিতে দেখলাম। কিন্তু আমি চোখে ভাল দেখতে পাই না।" বলছিলেন মিজ বেনো, "এরপর এর কথা আমি একদম ভুলে যাই।"
পরের দিন পত্রিকার পাতায় চোখ বুলানোর সময় তিনি বিজয়ী নাম্বারগুলো আবার দেখতে পান।
"প্রথমে ভেবেছিলাম চোখে ভুল দেখছি না তো? নিশ্চয় কোথাও ভুল হয়েছে। পরে আমার বোনকে ফোন করে বললাম 'মনে হয় আমি লটারি জিতেছি।"
তার বোনও কথাটা বিশ্বাস করতে পারেননি।
গত ২৮শে ডিসেম্বর ক্যানাডিয়ান লটারিতে দুজন বিজয়ী হয়। মিজ বেনো ছিলেন তার মধ্যে একজন।
গত ১০ বছর আগে ওলগা বেনোর ক্যান্সার ধরা পড়ে।
চিকিৎসার খরচ জোগাতে তাকে বাড়ি বিক্রি করতে হয়।
এখন তিনি বলছেন, পুরস্কারের টাকা দিয়ে তিনি সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি করে বাকি জীবনটা কাটাতে চান।
তবে তার আগে নাতী-নাতনিদের নিয়ে তিনি বেড়াতে যেতে চান ডিজনি ওয়ার্ল্ডে।বিবিসি

মন্তব্যসমূহ