হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ট্রাম্পের বিরোধিতায় চাকরি গেল অ্যাটর্নি জেনারেলের

অভিবাসীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করায় চাকরি হারিয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়ে, ইয়েটস যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে  বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন  ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার অ্যাটর্নি ডানা বনেট।
হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষায় একটি আইনসম্মত আদেশ বাস্তবায়নে বিরোধিতা করে তিনি (ইয়েটস) আইন বিভাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’

শরণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের  পক্ষে কাজ না করার জন্য মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে নিয়োগ পাওয়া  ইয়েটস।

ইয়েটস বলেছিলেন, ‘আমি যত দিন আছি, তত দিন  বিচার বিভাগ ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পক্ষে দাঁড়াবে না।’

প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসেবে ইয়েটসকে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী জেফ সিজন্সের কাছে তাঁর দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা ছিল।  

স্থানীয় সময় শুক্রবার সাতটি মুসলিম দেশের জনগণ ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামী জঙ্গিদের দূরে রাখার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ। আমরা তাদের এখানে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের সেনাদের জন্য হুমকি, তাদের আমরা নিতে পারি না। আমরা তাদেরই নেব, যারা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসে।’

ট্রাম্পের ওই আদেশে ওই সাতটি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া নাগরিকরা বেশ ঝামেলায় পড়ে। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় দুই ইরাকি নাগরিককেও। পরে তাঁরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন।

তবে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বৈধ ভিসাধারী অভিবাসী ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেন দেশটির আদালত। এনটিভি অনলাইন

মন্তব্যসমূহ