জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ব্রাজিলের কারাগারে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় নিহত ৬০

ব্রাজিলের একটি কারাগারে দাঙ্গায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আমাজন জঙ্গলের মানাউস শহরের দুটি মাদকচক্রের বিরোধের জের ধরে এ দাঙ্গার সুত্রপাত হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

অ্যামাজনাস রাজ্যের রাজ্যের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সার্জিও ফনতেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  কারাগারের ভেতরে মাদক চোরাকারবারী প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি গ্রুপের মধ্যে রবিবার রাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ফনতেস আরও জানান, রবিবার শেষ রাতের দিকে এ দাঙ্গা শুরু হয়। সোমবার সকাল সাতটার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনে নিরাপত্তাবাহিনী। কর্তৃপক্ষ এখনও কয়েদিদের সংখ্যা যাচাই করছে।

অনেক কয়েদি পালিয়ে যেতে পারে আশঙ্কার কথাও জানান ফনতেস।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে দেশটির কারাগারে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনা এটি। অনেক নিহত বন্দির লাশ কারাগারের দেয়ালের উপর দিয়ে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এ নৃশংসতা ঘটেছে ব্রাজিলের সবচেয়ে ভয়ংকর ও শক্তিশালী সাও পাওলোভিত্তিক ফার্স্ট ক্যাপিটাল কমান্ড (পিসিসি) মাদকচক্রের সঙ্গে স্থানীয় নর্থ ফ্যামিলি বলে পরিচিত চক্রের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে নর্থ ফ্যামিলির কোনও সদস্য পিসিসি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। নর্থ ফ্যামিলি ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাদকচক্র রিও ডি জেনিরোভিত্তিক রেড কমান্ড (সিভি)-এর হয়ে কাজ করছে।

গ্লোবো টিভি জানিয়েছে, রবিবার শেষ রাতের দিকে কয়েদিদের একটি গ্রুপ গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর তারা কারাগারের ১২ জন রক্ষীকে জিম্মি করে।

ব্রাজিলের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি রাখা হয়। দেশটির কারাগারের মান নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। কারাগারগুলোতে নিয়মিত দাঙ্গার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

মন্তব্যসমূহ