হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

থার্টি ফাস্ট নাইটে হামলার আশঙ্কা: বড় শহরে নিরাপত্তা

নতুন বছরের প্রথম প্রহরের উৎসবকে টার্গেট করে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে-এমন আশঙ্কায় পশ্চিমা বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

লন্ডন, বার্লিন, ব্রাসেলস এবং সিডনিতে হাজার হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্যারিস, মাদ্রিদ এবং নিউ ইয়র্কের যেসব জায়গায় হাজার হাজার মানুষ বর্ষবরণ উৎসবের জন্য সমবেত হয়, সেসব জায়গায় চারদিক ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।


নতুন বছরকে বরণ করার জন্য বিশ্বের বড় বড় নগরীতে এবারও উৎসব আয়োজনে ঘাটতি নেই।

ওপেন এয়ার কনসার্ট আর চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এসব নগরীতে জড়ো হবেন।

কিন্তু এ বছর জুড়ে যেভাবে এ ধরণের উৎসবকে টার্গেট করে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে তাতে নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রচণ্ড উদ্বেগ। নিসে লরি চালিয়ে হামলার পর লোকজন চারদিকে ছুটে যাচ্ছে। বিশেষ করে বার্লিনে এবং নিস শহরে যেভাবে জনতার ওপর ট্রাক চালিয়ে দেয়া হয়েছিল, সে ধরণের হামলার আশংকা করছেন অনেকে।

তাই লন্ডন, নিউ ইয়র্ক , প্যারিস থেকে শুরু করে সব বড় শহরেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার, যেখানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন, সেখানে কোনো গাড়িই ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নগরীর একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্কট শ্যানলি।

নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগের উপ প্রধান স্কট শ্যানলি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যা ঘটছে সেটা দেখে তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে জার্মানির বার্লিন এবং ফ্রান্সের নিস শহরে যেভাবে ট্রাক চালিয়ে হামলা করা হয়েছে, সেরকম হামলা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে’।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল তার নতুন বছরের ভাষণে ইসলামী জঙ্গিবাদকে তার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে বর্ণনা করেছেন

একই ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস, সিডনিসহ আরও সব বড় বড় শহরে। ২০১৬ সালে ইউরোপের শহরগুলো যেভাবে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয়েছে, সেরকম নজির সাম্প্রতিক সময়ে আর নেই।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল তার নতুন বছরের ভাষণে ইসলামী জঙ্গিবাদকে তার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে বর্ণনা করেছেন।

জার্মানিতে এ বছর যে তিনটি হামলা হয়, তার প্রত্যেকটিতেই হামলাকারীরা জার্মানিতে ঢুকেছিল শরণার্থী পরিচয়ে।
কিন্তু তারপরও তিনি তার অভিবাসন নীতি থেকে সরে না দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ