হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

লন্ডনের রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে খুলে নেয়া হল মুসলিম নারীর হিজাব

লন্ডনের একটি ব্যস্ত শপিং মলের সামনে ২০ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ মুসলিম নারীকে টেনেহিঁচড়ে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার হিজাব খুলে নিয়েছে দুই শ্বেতাঙ্গ দুর্বৃত্ত।

শনিবার পূর্ব লন্ডনের চিংফোর্ডে ব্যস্ত একটি শপিং মলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এটি একটি ঘৃণা অপরাধ বলে মনে করছে পুলিশ।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ জানাচ্ছে, চিংফোর্ডে একটি অতি ব্যস্ত শপিং মলের সামনে দিয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন হিজাব পরা ২০/২২ বছর বয়সী ওই মুসলিম মহিলা। তখনই তার ওপর চড়াও হয় দুই কিশোর। তারা ওই মহিলার হিজাব দেখে প্রথমে অশালীন মন্তব্য করে। তার পর ওই মহিলাকে টেনেহিঁচড়ে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে তার হিজাবটি টেনে খুলে দেয়। ওই মহিলাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ফুটপাথে।



পরে লন্ডনের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস গিয়ে ফুটপাতে পড়ে থাকা ওই মুসলিম মহিলাকে উদ্ধার করে। তার শুশ্রুষা করে।

ওই দুই যুবক এখনও ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের বক্তব্য, কোনো ধর্ম বা বর্ণের মানুষের প্রতি বিদ্বেষবশতই ওই অপকর্মটি করেছে দুই যুবক। তারা দু’জনেই শ্বেতাঙ্গ। বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। দু’জনেরই পরনে ছিল কালো পোশাক। তদন্ত শুরু হয়েছে জোর কদমে।

লন্ডনের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘ব্রেক্সিট’ ভোটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে রেফারেন্ডাম দিয়েছে, তার পর গত দু’সপ্তাহে লন্ডনে এমন ঘটনার হার বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ।

 দ্য গার্ডিয়ান/আরটিএনএন

মন্তব্যসমূহ