শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

বিলুপ্ত হবার পথে বণ্যপ্রাণী চিতা

নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে ক্ষিপ্রগতির জন্য বিখ্যাত বণ্য প্রাণী চিতাবাঘ বিলুপ্ত হবার পথে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হচ্ছে প্রাণীটির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমছে।
গবেষণাটির হিসেব অনুসারে, বিশ্বজুড়ে বনে জঙ্গলে এখন মাত্র মাত্র ৭ হাজার ১শ'টি দ্রুতগামী চিতা টিকে আছে।
বন্যপ্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকার বাইরেই ৭৭ শতাংশ চিতার বসবাস এবং এ কারণে মানুষের হাতে বারবার পড়ছে এগুলো। এছাড়াও দিন দিন মাঠ আর বনগুলো মানুষ বসতি স্থাপন ও কৃষিকাজের জন্য দখল করতে থাকায় একদিকে যেমন চিতাদের বাসস্থান কমছে, তেমনি যথেষ্ট শিকার পাচ্ছে না তারা। আর এ কারণেই বিপদে পড়ে গেছে বিশ্বের দ্রুততম এই স্তন্যপায়ী প্রজাতি।
গবেষকেরা তাই চিতাবাঘকে জরুরি ভিত্তিতে 'নাজুক' থেকে 'বিপন্ন' প্রজাতির প্রাণীর শ্রেণীতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে যে পরিমাণ চিতা টিকে আছে অর্ধেকের বেশি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি দেশ জুড়ে বসবাস করে। এশিয়া থেকে চিতাবাঘের অস্তিত্ব প্রায় মুছেই গেছে।

জিম্বাবুয়েতে গত ১৬ বছরে চিতাবাঘের সংখ্যা এক হাজার দুশো থেকে কমে মাত্র ১৭০-এ দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রাণীগুলোর আবাসস্থল ও শিকারের ভূমি দখল।


গবেষণাটির প্রধান জুয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন-এর ড: সারাহ ডুরান্ট বলছেন, "গোপনে থাকার স্বভাব এই প্রাণীটির। আর এ কারণে এ প্রাণী সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য যোগাড় করা সম্ভব হয় না। আর এ কারণেই তারা যে হারিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়গুলোও চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে"।
বাসস্থান এবং খাদ্যসংস্থান ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে চিতাশাবক পাচার ও চামড়ার জন্য চিতাবাঘ হত্যা প্রাণীটিকে বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত করার পেছনে অনেক বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে জানাচ্ছেন ড: ডুরান্ট। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ