শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

৩৮০০ বছরের পুরোনো আলুর ক্ষেত!

চারদিকে বড় বড় পাথর। মাঝের জায়গাটুকু সমান। এখানে লাগানো হয়েছিল আলু। এখন নয় প্রায় তিন হাজার ৮০০ বছর আগে!

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া এলাকায় পাওয়া গেছে এমন আলুর ক্ষেত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ফসলের ক্ষেত!

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দ্য জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সের ডিসেম্বর ইস্যুতে বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, শিকারী মানুষের ফসল করার ব্যাপারটির ক্ষেত্রে এটাই ‘প্রথম উদাহরণ’।

কেবল আলুক্ষেতই নয় পাওয়া যায় বিভিন্ন কাঠের উপকরণও। যা তিন হাজার বছরেরও বেশি সময়ের আগের মানুষ এসব উপকরণ দিয়ে বাগান পরিচর্যা করত। পরিষ্কারভাবে বললে, তখন কৃষি উপকরণ ব্যবহারও শিখে যায় মানুষ। প্রতিবেদনে বলা হয় ওই এলাকায় কাৎজি গোত্রের মানুষ  বাস করত।

প্রত্নতত্ত্ববিদ তানজা হফম্যান ও সিমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাজ করতে গিয়ে ওই আলুক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রকল্পটি কাৎজি গোত্রের মানুষ নিয়ে কাজ করছিল। গবেষকরা আলুক্ষেতটি খুঁজে পান জলাশয়ের নিচে। শতকের পর শতকজুড়ে ওই জলাশয় টিকে আছে। জলাশয়ের পানি সরাতেই চোখে পড়েছে ওয়াপাতো টিউবার নামে এক ধরনের ফসলের অস্তিত্ব। যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে এক ধরনের আলু হিসেবেই চেনে। আলুক্ষেতের চারদিকে ছিল পাথরের দেয়াল। গবেষকরা জানান, এসব পাথর এখানে প্রাকৃতিকভাবে হয়নি, বরং আলু রক্ষার জন্য এসব পাথরের দেয়াল স্থাপন করে তারা। শুধু তাই নয়, ওই বাগান বা ক্ষেতে নিয়মমতো পানি প্রবেশ করানোর মতো ব্যবস্থাও তৈরি করে  তিন হাজার আটশো বছর আগের মানুষ!

জলাশয়ের পাশেই শুকনো এলাকা। গবেষকরা জানান, এসব এলাকায় মানুষ বাস করত। আলুক্ষেতের আশপাশে প্রায় ১৫০ ধরনের কাঠের যন্ত্রপাতির অংশ বিশেষ পাওয়া যায়। গবেষকদের দাবি, এগুলো কৃষি উপকরণ। এসব যন্ত্র  দিয়ে মাটি খুঁড়ে চারা রোপণ করত আদিম মানুষ। এনটিভি

মন্তব্যসমূহ