হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পালিয়ে গিয়েও রক্ষা হলোনা রোহিঙ্গা শিশুটির ! এ যেন নতুন আয়লান, সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

রোহিঙ্গা শিশুটি প্রাণ বাঁচাতে পরিবারের সঙ্গে মংডু থেকে নৌকায় করে কক্সবাজার অভিমুখে রওনা হয়েছিল। অতঃপর বর্মার সীমান্তরক্ষী পুলিশের (Burmese Border Guard Police) গুলিতে নিহত।
যা নিয়ে চলছে সোস্যাল মিডিয়াতে তোলপাড়, অনেকেই এই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকের কভার ফটো হিসেবে। এ যেন নতুন আয়লান কুর্দি ..

সাংবাদিক সজিব ঘোষ শিশুটির ছবি ফেসবুকে আপ করে লিখেন, “আমি এই মৃত্যুকূপের বাসিন্দা!”
কবি ও সাংবাদিক শাকিল মাহমুদ লিখেছেন, “মিয়ানমার নামের রাষ্ট্রর বাপ মা কে?”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ লিখেছেন, “Curse on Suchi, Buddhist terrorists of Myanmar.”

 সাংবাদিক হাবিবা নাসরিন তার ফেসবুকে লিখেন।

দুনিয়ার থেকে কেঁদে ফিরে যায় বেহেস্তি মেহমান
তুমি মুখ বুজে সয়ে যাও তবু নিদারুণ অপমান
বাঁচে না তো ওরা, মরে যায় শুধু, বেঁচে থাকারাও মৃত
মুসলিম তুমি কোন গরিমায় বুক করো স্ফীত!



 আকতার নামে একজন ফেসবুকে লিখেন।
আরবের লম্বা কোর্তা তুমি আজ মানবতাহীন, তোমার বিবেক আজ কান্ডজ্ঞান এবং অস্তিত্বহীন...
মায়ানমারের শিশু, বৃদ্ধা, মা-বোনেরা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, ধর্ষিত, দারিদ্রে অতিষ্ঠ এক মানবেতর জীবন করছে। আর তুমি অন্যর গোলাম হয়ে গালফ ক্লাব টূর্ণামেন্টে কোটি মিলিয়নের পুরষ্কার তুলে দিচ্ছ কার হাতে!!!!
হে বিশ্ব মিডিয়া!! এটা কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া নয়, মায়ানমারের নিরীহ এক রক্তাক্ত শিশু!!

আবদুস সামাদ রাজু নামে একজনে লিখেন: মুখ থুবড়ে পড়া অগ্নিমন্দ্র ইতিহাস!
মানুষ/রোহিঙ্গা/ মুসলমান শিশু উপুড় হয়ে পড়ে আছে বাংলাদেশ উপকুলে তাবৎ দুঃখ, ক্ষোভ আর হাসির ফল্গুধারা সমেত।

মাহফুজ চৌধুরী লিখেন: একদিন আমাকে আপনাকে বাংলাদেশের সব মানুষ কে আল্লাহর দরবারে এই রোহিন্গা শিশু টির জন্য জবাব দিহি করতে হবে তার মৃত্য চেয়ে সেদিন আমাদের শাস্তি কঠিন হবে ..

সাইফ শামীম লিখেন:মনে হচ্ছে সারা দুনিয়া তার সমস্ত শক্তি নিয়ে মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে। যেন সারা পৃথিবীর একমাত্র প্রতিপক্ষ এই ইসলাম আর মুসলমানরা!!!!
MH Raju: বিশ্ববিবেক না। বাঙ্গালির বিবেক কোথায় ??

জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই লজ্জিত।
এই কারণে যে আমরা মিয়ানমারের মত একটা রাষ্ট্রের প্রতিবেশি।

আর এই কারণে যে, মানবিকতার কারণেও আমরা বর্ডার খুলছিনা।

সরকারকে বলতে চাই,
১৯৭১ সালে ভারত যদি বর্ডার না খুলতো তাহলে আমাদের যে অবস্থা হতো ; আমরা আজ বর্ডার না খুলায় রোহিংগাদের সেই অবস্থাটাই হচ্ছে।

আমরা বাঙ্গালি জাতি। আমরা লজ্জিত হতে চাইনা। গর্বিত ও মহান হতে চাই।
ফেসবুক থেকে

মন্তব্যসমূহ