শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

দাবানলের পর টানা বর্ষণে বন্যার কবলে অস্ট্রেলিয়া



ভয়াবহ দাবানলের পর গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এবার আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।

গত শনিবার থেকে বিভিন্ন রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বন্যার কবলে পড়েছে দেশটি।

প্রবল বৃষ্টিপাতে ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুন্সল্যান্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ভিক্টোরিয়া উপকূলের ফেঞ্চ দ্বীপে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেখান থেকে নিরাপত্তা সংকটের কারণে পর্যটক ও স্থানীয়দের এলাকাটি ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।

রাজ্যগুলোর ফায়ার সার্ভিস অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে দাবানল মোকাবেলায় সুবিধা হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় দাবানল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং আবহাওয়া আগের তুলনায কিছুটা অনুকূলে আছে।

তবে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ের কারণে নিউ সাউথ ওয়েলসের বেশ কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার থেকে রাজ্যের কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনে জ্বলতে থাকা বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে বৃষ্টির দেখা মিলেনি। ফলে ওই এলাকাগুলোতে দাবানল এখনও আগের অবস্থায়ই রয়েছে।

তীব্র গরমে কয়েক মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি এসেছিল।

কিন্তু ভারী বর্ষণে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুইন্সল্যান্ডে। সেখানে কয়েকটি স্থানে পানি বেড়ে বেশ কিছু মহাসড়ক ও আবাসিক এলাকা তলিয়ে গেছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে ওইসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এই রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হলেও দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এখনও দাবানলের আগুনে পুড়ছে। গত চার মাস ধরে চলমান দাবানলে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ