জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

রাশিয়ার ৩৫ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলানোর সন্দেহে শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসি এবং সান ফ্রান্সিসকো কনসুলেটের এসব কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


সেই সঙ্গে মেরিল্যান্ড এবং নিউ ইয়র্কে গোয়েন্দা তথ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত এমন দুটি রুশ কম্পাউন্ডও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া রুশ গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৯টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়াও শিগগিরই নিজের দেশ থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এর জবাব দেবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা রুশ হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল, এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

যদিও রাশিয়া এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ‘খেলো’ করার চেষ্টার জন্য যারা দায়ী এসব পদক্ষেপ তাদের জন্যেই নেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছেন, “রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সব মার্কিন নাগরিকেরই সচেতন থাকা উচিত।”

সেই সঙ্গে মার্কিন বিশেষজ্ঞদেরও রুশ সাইবার হামলার ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং তা থেকে রেহাই পাবার উপায় খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। -বিবিসি

মন্তব্যসমূহ