হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আশা জাগিয়েও হারের হতাশা

নিউজিল্যান্ডকে ২৫১ রানেই আটকে দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটি ওয়ানডে জয়ের আশাই জেগেছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। ভালো ব্যাটিং করে সেই আশাটা আরও জোরদার করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পরেই বাংলাদেশ হয়েছে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার। ১ উইকেটে ১০৫ রান থেকে কয়েক ওভারের ব্যবধানেই স্কোরটা হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৪১। শেষপর্যন্ত মাশরাফিদের মাঠও ছাড়তে হয় ৬৭ রানের হার নিয়ে।

২৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান জমা করে ভালো সূচনার ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন তামিম ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু জুটিটা খুব বেশি বড় করতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার। অষ্টম ওভারে টিম সাউদি ফিরিয়েছেন তামিমকে। শুরুতে তামিমের উইকেট হারালেও ইমরুল আর সাব্বিরের জুটিতে ভর করে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ৭৫ রানের জুটি। কিন্তু ২৩তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে ফিরতে হয়েছে সাব্বিরকে। শর্ট কাভারে বল ঠেলে দিয়ে একটি রান নিতে চেয়েছিলেন ইমরুল। শুরুতে সেই ডাকে সাড়াও দিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু কিছুটা এগিয়ে আবার ফিরে আসেন তিনি। ইমরুলও ততক্ষণে চলে এসেছিলেন উইকেটের অপর প্রান্তে। শুরুতে মনে হয়েছিল আউট হয়ে ফিরে যেতে হবে ইমরুলকেই। প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতেও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তাঁকে আবার উইকেটে ফেরান আম্পায়াররা। সাজঘরের দিকে হাঁটতে বলেন সাব্বিরকে। ৩৮ রান করে ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এই দুর্ভাগ্যজনক রানআউটটাই পাল্টে দেয় ম্যাচের চিত্র। পরবর্তী আট ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় আরও তিনটি উইকেট। একে একে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ (১), সাকিব (৭) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৩)। তখনও আশার প্রতীক হয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন ইমরুল। কিন্তু ৩২তম ওভারে ৫৯ রান করে ইমরুল ফিরে যাওয়ার পরেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার আশা। শেষপর্যায়ে অধিনায়ক মাশরাফির ১৭ ও অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহানের ২৪ রানের ছোট ইনিংস দুটি বাংলাদেশের হারের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রায় একাই লড়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নেইল ব্রুম। ১০৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর সঙ্গে লুক রনকির ৩৫ ও জেমস নিশামের ২৮ রানের ছোট দুটি ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ২৫১ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১০ ওভার বল করে ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট গেছে তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে। এনটিভি

মন্তব্যসমূহ