প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাত আসামিকে ফের ৮ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। প্রথম দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুর পৌনে ৩টার দিকে আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
রিমান্ডের আসামিরা হলেন- প্রকৌশলী কর্মকর্তা সামীউল হক, লুৎফর রহামান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন ভারপ্রাপ্ত) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী পরিদর্শন এবং মান নিশ্চিতকরণ (ভারপ্রাপ্ত) এস এ সিদ্দিক ও মুখ্য প্রকৌশলী মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল (এম সি সি ভারপ্রাপ্ত) বিল্লাল হোসেন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মাহবুবুল আলম আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আদালতের আদেশে মামলার ঘটনার বিষয়ে এ আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গিয়াছে। তাই আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের ফের ১০ দিন করে রিমান্ড প্রয়োজন।
এরআগে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী এ সাত আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
এ ছাড়া এ মামলার আরো দুই আসামি বিমানের জুনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও প্রকৌশলী কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান রিমান্ডে রয়েছেন।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেইনটেনেন্স বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বিমানের ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
পরে ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিমানের ৭ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে।
ওই ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নয়জনকে আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(গ) ধারায় মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এস এম আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ করা হয়, বিভাগীয় তদন্তে ওই নয়জনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি নিয়া অবহেলামূলক আচরণ করতঃ অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার দুই দিনের মাথায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নতুনবার্তা
মন্তব্যসমূহ