ভারত যাওয়ার পথে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ আটক ৪

  ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোজাম্মেল হক বাবু এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে জনতা। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি। এ সময় অন্য দুজন হলেন- একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান, প্রাইভেট কার চালক মো. সেলিম। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, রোববার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটকরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

মিয়ানমারে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪, নিখোঁজ ৮৯

 




ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম। আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যার কারণে ৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও ৮৯ জন। খবর এএফপির।


গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি আঘাত হানার পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ডে সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ৩৫০ জন মারা গেছে।


নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা এবং বন্যায় ৬৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে ও পাঁচটি বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমটি। এর আগে শুক্রবার জান্তা সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ জনে এবং দুই লাখ ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।


বন্যার পানিতে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ডুবে গেছে। নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানী নেইপেডুসহ আশপাশের এলাকা এখনও পানির নিচে রয়েছে।



খবর পাওয়া গেছে, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে রাস্তা-ঘাট ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা ভেঙে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারি বাহিনী ও বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৭ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এতটাই বেশি যে এক বিরল ঘটনা হিসেবে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন। এর আগে দেশটিতে বিদেশ থেকে কোনো মানবিক সাহায্যপণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না।

মন্তব্যসমূহ