জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

মিয়ানমারে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪, নিখোঁজ ৮৯

 




ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম। আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যার কারণে ৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও ৮৯ জন। খবর এএফপির।


গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি আঘাত হানার পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ডে সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ৩৫০ জন মারা গেছে।


নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা এবং বন্যায় ৬৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে ও পাঁচটি বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমটি। এর আগে শুক্রবার জান্তা সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ জনে এবং দুই লাখ ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।


বন্যার পানিতে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ডুবে গেছে। নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানী নেইপেডুসহ আশপাশের এলাকা এখনও পানির নিচে রয়েছে।



খবর পাওয়া গেছে, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে রাস্তা-ঘাট ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা ভেঙে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারি বাহিনী ও বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৭ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এতটাই বেশি যে এক বিরল ঘটনা হিসেবে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন। এর আগে দেশটিতে বিদেশ থেকে কোনো মানবিক সাহায্যপণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না।

মন্তব্যসমূহ