হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

টিএসসিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছাত্রনেতাকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

 




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় অন্তত ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ করেছে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন তারা তুলে নিয়ে গেছে। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


পুলিশ টিএসসির রাজু ভাস্কর্য এলাকায় প্রথমে পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ছাত্রনেতা আখতার হোসেনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। একটু পরেই রোকেয়া হলের কাছে আরেকটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আজকের পত্রিকার সাংবাদিক আহমেদ শাবিব আব্দুল্লাহসহ ‍দুজন আহত হন।


সাইন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর পুরো টিএসসি এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেখানে শিক্ষার্থীরাও অবস্থান নিয়েছেন। বিকেল ৪টায় সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টিএসসি এলাকায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছেন।


আজ দুপুর ২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন শোভাযাত্রার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থানের কারণে তারা এখনো সেই কর্মসূচি করতে পারেনি। 


পুলিশের কাভার্ড ভ্যান থেকে আখতার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, এর দায় সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’


ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় আমরা নিজেরা হল ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের কেউ বের করে দেয়নি।’


প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ছাড়ার নির্দেশের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। 

মন্তব্যসমূহ