ভারত যাওয়ার পথে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ আটক ৪

  ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোজাম্মেল হক বাবু এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে জনতা। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি। এ সময় অন্য দুজন হলেন- একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান, প্রাইভেট কার চালক মো. সেলিম। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, রোববার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটকরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


প্রায় ৯ বছর আগের মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ২২ জনের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রাখা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের আদেশের সময় আমানউল্লাহ আমান, সাইফুল আলম নীরবসহ কয়েকজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার ৪৫ আসামির মধ্যে রুহুল কবির রিজভীসহ অধিকাংশ আসামিই পলাতক। তাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের জাকের ডেইরি ফার্মের সামনে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মিছিলের পর একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

মন্তব্যসমূহ