হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

করোনার ভয়ে আজানের অনুমতি দিল স্পেন প্রশাসন!




স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসান হওয়ার পর প্রকাশ্যে উচ্চস্বরে আজানের ধ্বনি শোনা যায়নি। এবার করোনা ভাইরাসের ভয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ আজানের সুর ধ্বনিত হলো সেখানকার আকাশে-বাতাসে। ঘরের জানালা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সম্মিলিতভাবে আজান দিলেন দেশটির মুসলিম কমিউনিটি। বাইরে উচ্চস্বরে আজান দেওয়ার অনুমতি না থাকলেও দেশটির প্রশাসন করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির আশায় মুসলমানদের এমন আয়োজনের আবেদনে সম্মতি প্রকাশ করে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির আশায় আল্লাহর সাহায্য কামনায় সম্মিলিতভাবে একই সময়ে নিজ ঘরের বারান্দা বা জানালায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়ার জন্য মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংস্থা ‘ভালিয়ান্তে বাংলা’ আবেদন করে। আর কর্তৃপক্ষও তাতে সম্মতি প্রদান করে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইউরোপা প্রেসের একটি প্রতিবেদনেও প্রকাশিত হয়।

ভালিয়ান্তে বাংলার সভাপতি মো. ফজলে এলাহী বলেন, স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসান হওয়ার পর আর উচ্চস্বরে বাইরে আজানের ধ্বনি শোনা যায়নি। যে ভয়াবহ করোনা ভাইরাস প্রকোপ ছড়িয়েছে স্পেনে, সেজন্য এ বিপদ থেকে মুক্তির জন্য উচ্চস্বরে একই সময়ে আজান দেওয়ার অনুমতি আমরা চেয়েছিলাম। স্পেনের কর্তৃপক্ষও আমাদের সে অনুমতি দেয়। এরপর সুন্দরভাবে মাদ্রিদ, বার্সেলোনাসহ স্পেনের বিভিন্ন শহরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় আজান দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আধিক্যের হিসাবে স্পেনের অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে শুক্রবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৫১০ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশটিতে ১৪ মার্চ থেকে জরুরি রাষ্ট্রীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ