ভারত যাওয়ার পথে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ আটক ৪

  ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোজাম্মেল হক বাবু এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে জনতা। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি। এ সময় অন্য দুজন হলেন- একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান, প্রাইভেট কার চালক মো. সেলিম। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, রোববার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটকরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির পরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৮০

 




ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির মেয়াদ আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শেষ হয়। এরপরই গাজা উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হামাসের হাতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১০৯ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।’


এদিকে, হামলার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলও। তাদের দাবি, আজ তারা ২০০টির বেশি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে তারা।


এক বিবৃতিতে ইসরায়েল বলছে, ‘সবশেষ কয়েক ঘণ্টায় আকাশ, স্থল ও পানি পথে গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণে, খান ইউনিস ও রাফায় সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।’


গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সংগঠনটি। প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্রমাগতভাবে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল।


আন্তর্জাতিক চাপে অবশেষে গত ২৪ নভেম্বর হামাস ও ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ওই সময়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ ১৫০ ফিলিস্তিনিকে তাদের জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে ১১৭ জন শিশু ও ৩৩ জন নারী। একই সময়ে হামাস ৬৯ পণবন্দিকে মুক্তি দেয়। তাদের মধ্যে ৫১ জন ইসরায়েলি ও ১৮ জন অন্যান্য দেশের নাগরিক।


দ্বিতীয় দফায় দুদিনের যুদ্ধবিরততে চায় হামাস ও ইসরায়েল। আর সবশেষ দফায় একদিনের যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয় দুপক্ষ যা আজ সকালে শেষ হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ