ভারত যাওয়ার পথে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ আটক ৪

  ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোজাম্মেল হক বাবু এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে জনতা। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি। এ সময় অন্য দুজন হলেন- একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান, প্রাইভেট কার চালক মো. সেলিম। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, রোববার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটকরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

আবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ জাতিসংঘের

 




জাতিসংঘ আবারও বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রশ্নের জবাবে এই তাগিদ দেন। এ সময় তিনি দেশের জনগণের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব পক্ষকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান।


স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী। তবে ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপিসহ কয়েকটি দল জনজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো পরামর্শ আছে কি...?


জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হলো—নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজসহ সবাই মিলে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করুন। যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে, স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে এবং যাতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হয়।’


এর আগেও স্টিফেন ডুজারিক একই আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, আমরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন দেখেছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সব পক্ষকে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরির আহ্বান জানাই, যেখানে জনগণ অবাধে তাদের ভোট দিতে পারে, মত প্রকাশ করতে পারে কোনো ধরনের ভীতি ও হয়রানি ছাড়াই।’


তারও আগে গত ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা যা করা সম্ভব, তা করতে সব অংশীজন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো আমরা অব্যাহত রাখব।’

মন্তব্যসমূহ