হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হামাসের অভিযানে ইসরায়েলের ২৪৭ সেনা নিহত

হামাসের হামলায় ইসরায়েলি সেনা সদস্য নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৭ জনে ঠেকেছে। গতদিন বৃহস্পতিবারে যা ছিল ২২২ জন। এছাড়া, ইসরায়েলে মোট প্রাণহানি ১৩শ’ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যাও প্রায় সাড়ে তিন হাজার। খবর আল জাজিরার।


আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় নিহতদের পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে। এরপর বিভিন্ন শহরে তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলছে।


ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আহতদের বেশিরভাগই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ২৮ জন মুমূর্ষু রোগী। আর সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিন শতাধিক ইসরায়েলি। প্রাণহানি আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।


এদিকে, হামাসের মূল টার্গেট হিসেবে রয়েছে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি শহর। হামাসের হামলা থেকে প্রাণহানি এড়াতে প্রতিনিয়তই সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হচ্ছে ইসরায়েলে।


উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীতে বর্তমানে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ সক্রিয় সামরিক সেনা রয়েছে। এছাড়াও রিজার্ভে রয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার সেনা। বর্তমানে গাজা উপত্যকার কাছাকাছি ৩ লাখ ইসরায়েলি রির্জাভ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সাথেও লড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী।


মন্তব্যসমূহ