শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

হামাসের অভিযানে ইসরায়েলের ২৪৭ সেনা নিহত

হামাসের হামলায় ইসরায়েলি সেনা সদস্য নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৭ জনে ঠেকেছে। গতদিন বৃহস্পতিবারে যা ছিল ২২২ জন। এছাড়া, ইসরায়েলে মোট প্রাণহানি ১৩শ’ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যাও প্রায় সাড়ে তিন হাজার। খবর আল জাজিরার।


আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় নিহতদের পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে। এরপর বিভিন্ন শহরে তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলছে।


ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আহতদের বেশিরভাগই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ২৮ জন মুমূর্ষু রোগী। আর সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিন শতাধিক ইসরায়েলি। প্রাণহানি আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।


এদিকে, হামাসের মূল টার্গেট হিসেবে রয়েছে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি শহর। হামাসের হামলা থেকে প্রাণহানি এড়াতে প্রতিনিয়তই সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হচ্ছে ইসরায়েলে।


উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীতে বর্তমানে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ সক্রিয় সামরিক সেনা রয়েছে। এছাড়াও রিজার্ভে রয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার সেনা। বর্তমানে গাজা উপত্যকার কাছাকাছি ৩ লাখ ইসরায়েলি রির্জাভ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সাথেও লড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী।


মন্তব্যসমূহ