শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ১৮০০


ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে টানা সাতদিন ধরে চলছে তুমুল লড়াই। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৭৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহত বেড়ে ৬ হাজার ৩৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ছাড়িয়েছে এক হাজার ৩০০। আহত হয়েছে তিন হাজারের বেশি।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে অভিযান শুরু করা হতে পারে জানিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়োর আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে হামাস জানিয়েছে, এগুলো ‘ভুয়া প্রচারণা’ ছাড়া কিছু নয়। 

 এমন অবস্থায় দ্বিধায় পরে গেছেন সেখানে বসবাস করা ১১ লাখ বাসিন্দা। জাতিসংঘও বলছে, এত কম সময়ে তাদের অন্যত্র চলে যাওয়া অসম্ভব। এ ছাড়া বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। এর প্রায় অর্ধেক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে বাস করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত মানুষ চলে যাওয়া সম্ভব না।

মন্তব্যসমূহ