হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ১৮০০


ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে টানা সাতদিন ধরে চলছে তুমুল লড়াই। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৭৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহত বেড়ে ৬ হাজার ৩৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ছাড়িয়েছে এক হাজার ৩০০। আহত হয়েছে তিন হাজারের বেশি।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে অভিযান শুরু করা হতে পারে জানিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়োর আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে হামাস জানিয়েছে, এগুলো ‘ভুয়া প্রচারণা’ ছাড়া কিছু নয়। 

 এমন অবস্থায় দ্বিধায় পরে গেছেন সেখানে বসবাস করা ১১ লাখ বাসিন্দা। জাতিসংঘও বলছে, এত কম সময়ে তাদের অন্যত্র চলে যাওয়া অসম্ভব। এ ছাড়া বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। এর প্রায় অর্ধেক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে বাস করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত মানুষ চলে যাওয়া সম্ভব না।

মন্তব্যসমূহ