জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি জড়িত : প্রধানমন্ত্রী

 



২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বিএনপি জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।


গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর উপলক্ষে আজ সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।


২০০৪ সালে ১৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া সেই হত্যাকাণ্ড স্তব্ধ করে দেয় জাতিকে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের দিনটি স্মরণ করা হচ্ছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।


স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তদন্তেও তা বের হয়ে এসেছে। তারা জড়িত ছিল বলেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বাধা দেয়। বিএনপি শুধু হত্যা আর ক্যুর রাজনীতিটাই জানে।’


২১ আগস্ট আর্জেস গ্রেনেড হামলায় নিজের বেঁচে যাওয়া বিস্ময়কর ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড ফেলা হয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে। একটা-দুটা না, ১৩টা গ্রেনেড। আর কত যে তাদের হাতে ছিল কে জানে? সেদিন যে বেঁচে গেলাম সেটাই অবাক বিস্ময়।’


শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যেসব গ্রেনেড ছোড়া হলো সেগুলো ট্রাকের ওপরে না পড়ে ট্রাকের ডালার সঙ্গে বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে যায়। সমস্ত স্প্লিন্টার হানিফ ভাইয়ের মাথায় লাগে। তাঁর সমস্ত গা বেয়ে রক্ত... আমার কাপড়ে এসে পড়ে। প্রথমে তিনটা, তারপর একটু বিরতি দিয়ে আবার একটার পর একটা গ্রেনেড মারতে শুরু করল। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত, আইভি রহমান মহিলাদের নিয়ে নিচে ছিলেন।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির ভাড়াটে হয়ে আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলছে, তাদের কাছে প্রশ্ন- ৭৫ ও একুশে আগস্টের সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল?

মন্তব্যসমূহ