শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি জড়িত : প্রধানমন্ত্রী

 



২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বিএনপি জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।


গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর উপলক্ষে আজ সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।


২০০৪ সালে ১৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া সেই হত্যাকাণ্ড স্তব্ধ করে দেয় জাতিকে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের দিনটি স্মরণ করা হচ্ছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।


স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তদন্তেও তা বের হয়ে এসেছে। তারা জড়িত ছিল বলেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বাধা দেয়। বিএনপি শুধু হত্যা আর ক্যুর রাজনীতিটাই জানে।’


২১ আগস্ট আর্জেস গ্রেনেড হামলায় নিজের বেঁচে যাওয়া বিস্ময়কর ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড ফেলা হয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে। একটা-দুটা না, ১৩টা গ্রেনেড। আর কত যে তাদের হাতে ছিল কে জানে? সেদিন যে বেঁচে গেলাম সেটাই অবাক বিস্ময়।’


শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যেসব গ্রেনেড ছোড়া হলো সেগুলো ট্রাকের ওপরে না পড়ে ট্রাকের ডালার সঙ্গে বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে যায়। সমস্ত স্প্লিন্টার হানিফ ভাইয়ের মাথায় লাগে। তাঁর সমস্ত গা বেয়ে রক্ত... আমার কাপড়ে এসে পড়ে। প্রথমে তিনটা, তারপর একটু বিরতি দিয়ে আবার একটার পর একটা গ্রেনেড মারতে শুরু করল। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত, আইভি রহমান মহিলাদের নিয়ে নিচে ছিলেন।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির ভাড়াটে হয়ে আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলছে, তাদের কাছে প্রশ্ন- ৭৫ ও একুশে আগস্টের সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল?

মন্তব্যসমূহ