হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৩০০ পাকিস্তানির মৃত্যু

 




গ্রিস উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩০০ পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে ৯ মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রিস উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের বাড়ি সেখানে। এছাড়া পাঞ্জাবের গুজরাট শহর থেকে মানব পাচারে জড়িত সন্দেহে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


পাকিস্তানি সিনেটের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদিক সানজরানি রোববার এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। একই দিনে এক টুইট বার্তায় এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। টুইটে তিনি লেখেন, আমি জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে, যারা এ ঘটনার তদন্তে অবহেলা করবে তাদের বিচার করা হবে।


গত বুধবার (১৪ জুন) গ্রিস উপকূলে কয়েকশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে ডুবে যায় একটি নৌকা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌকাটিতে ৪০০ থেকে ৭৫০ জন অভিবাসী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রতিবছর হাজার হাজার পাকিস্তানিসহ বিভিন্ন গরিব দেশের বহু মানুষ উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ এই সাগরপথের যাত্রায় প্রায়ই নৌযানডুবির ঘটে। এতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।


বুধবারের ওই দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কয়েকশতে পৌঁছাতে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া মাছ ধরার নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীতে বোঝাই ছিল। সেটি দক্ষিণ গ্রীসের পাইলোস শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ডুবে যায়।


গ্রিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ১০৪ জনকে জীবিত ও ৭৮ জনের মরদেহ সৈকতে আনা হয়। পাঁচ দিন পারে হয়ে যাওয়ায় জীবিত মানুষ খুঁজে পাওয়ার আশা ক্রমেই ম্লান হয়ে আসছে। নৌযানটির বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন মিশর, সিরিয়া ও পাকিস্তানের।

সূত্র: সিএনএন

মন্তব্যসমূহ