হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনার সংঘর্ষে নিহত ৫

 




অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের প্রবল গোলাগুলি হয়। সোমবার (১৯ জুন) এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।


ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুজন কিশোর রয়েছে। বাকি তিনজনের বয়স ২০ বছরের কোটায়। এ সংঘর্ষে ৯১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, তাদের আটজন আহত হয়েছে। তবে, তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। 


সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইসরায়েলি সেনার ওপর ফিলিস্তিনিরা বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখন ইসরায়েলের সেনারা হেলিকপ্টার থেকে আক্রমণ করে।


ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, সেনা ও সীমান্ত পুলিশের আট সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মাঝারি ধরনের আঘাত লেগেছে।


প্রায় দুই দশক পরে পশ্চিম তীরে আক্রমণ চালাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করল ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করে তারা। ইসরায়েল জানায়, তাদের সেনার ওপর ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। সেনাদের সাহায্য করতেই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।


ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা দুজন জঙ্গিকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল। এই দুজন সাম্প্রতিক অনেকগুলো হামলার পেছনে ছিল। সেনারা পৌঁছানোর পরেই সেখানে বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ শুরু হয় এবং গুলি চলে। তারপরই সেনা সদস্যদের সরিয়ে আনতে হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া হয়।


স্থানীয় গণমাধ্যমকে এক বাসিন্দা বলেন, তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। মনে হচ্ছিল, যুদ্ধ চলছে। মাথার উপরে হেলিকপ্টার উড়ছিল। হেলিকপ্টার থেকে কাছের চাষের জমিতেও বোমা ফেলা হয়।


এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেন, ‘ইসরায়েল যেন অধিকৃত ফিলিস্তানি এলাকায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে। ওখানে বাড়ি বানানো নিয়েই উত্তেজনা বাড়ছে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’

মন্তব্যসমূহ