হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

জামায়াত সন্ত্রাস, নাশকতা, হামলা, বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষে বিশ্বাস করে না: আবদুল্লাহ তাহের




 ‘জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে নাশকতার কোনো স্থান নেই, জামায়াতের অবস্থান বরাবরই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি আরও বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে। 


জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘দেশে এখন দুষ্টুদের লালন-পালন করা হয়, আর ভালো মানুষদের দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। সরকার সংবিধান রক্ষার কথা বলছে, অথচ এই সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছে।’ 


আজ শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. তাহের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। 


পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা জামায়াতের আজকের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাদের জামায়াতের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে নাশকতার কোনো স্থান নেই। জামায়াতের অবস্থান বরাবরই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমাদের প্রতিটি কর্মী সুশিক্ষিত ও উন্নত মানসিকতা পোষণ করে থাকে।’


ডা. তাহের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশকে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা হয়েছিল। অথচ, সোনার বাংলা না হয়ে দেশ হয়ে পড়েছিল চোরের খনি। বর্তমানে দেশ থেকে লাখ কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার হয়েছে।’  


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে দেশের সব শ্রেণিপেশার নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে জামায়াতের এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মনোভাব বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই।’ এ দাবি আদায়ে জামায়াত সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ