গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ১৭

  এক বছর ধরে চালানো বিমান হামলা ও সম্মুখ যুদ্ধের পরও গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সংগঠিত হচ্ছে এমন আশঙ্কার ভিত্তিতে সেখানে গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। উদ্ধরকর্মীরা জানিয়েছেন, এই হামলায় ৯ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছে। মূলত জাবালিয়া এলাকাকে কেন্দ্র করে চলে এই বিমান হামলা। খবর এএফপির। গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ অধিবাসীই এখন বাস্তুচ্যুত এবং এই ভূখণ্ডটির বেশিরভাগ বাড়িঘর ও অবকাঠামো ইতোমধ্যে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮৭০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। হতাহতদের অধিকাংশই নিরীহ সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক। অন্যদিকে, গত বছরের ঠিক আজকের দিনে (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে গাজায় যে যুদ্ধের সূচনা হয় তা চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের উদ্দেশে গতকাল রোববার দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, গাজা ও লেবাননে  অবশ্যই ইসরায়েল বিজয় লাভ করবে। এছাড়া ইরানেও হামলা চালান

জামায়াত সন্ত্রাস, নাশকতা, হামলা, বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষে বিশ্বাস করে না: আবদুল্লাহ তাহের




 ‘জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে নাশকতার কোনো স্থান নেই, জামায়াতের অবস্থান বরাবরই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি আরও বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে। 


জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘দেশে এখন দুষ্টুদের লালন-পালন করা হয়, আর ভালো মানুষদের দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। সরকার সংবিধান রক্ষার কথা বলছে, অথচ এই সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছে।’ 


আজ শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. তাহের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। 


পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা জামায়াতের আজকের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাদের জামায়াতের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে নাশকতার কোনো স্থান নেই। জামায়াতের অবস্থান বরাবরই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমাদের প্রতিটি কর্মী সুশিক্ষিত ও উন্নত মানসিকতা পোষণ করে থাকে।’


ডা. তাহের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশকে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা হয়েছিল। অথচ, সোনার বাংলা না হয়ে দেশ হয়ে পড়েছিল চোরের খনি। বর্তমানে দেশ থেকে লাখ কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার হয়েছে।’  


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে দেশের সব শ্রেণিপেশার নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে জামায়াতের এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মনোভাব বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই।’ এ দাবি আদায়ে জামায়াত সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ